বিএনপিকে ভাঙার কিছু নেই; তারা নিজেরাই ভেঙে পড়েছে
নিউজ ডেস্ক:বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বিএনপিকে ভাঙার কিছু নেই। তারা নিজেই ভেঙে পড়েছে। কখনও ড. কামাল হোসেন, কখনও লন্ডন থেকে তারেক জিয়া আবার কখনও জেল থেকে খালেদা জিয়া কে যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তা বোঝাদায়। তাদের প্রকৃত নেতা কে সেটাই বোঝা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে বিএনপির। জনগণ আর জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসীদের পছন্দ করে না। তাই তারা বিভিন্ন সময় নানা কথা বলছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত জেলা মেহেরপুরের উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশশ্রুতি অনুযায়ী রেললাইন ও মুজিবনগরে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে সকাল ১০টায় তিনি মুজিবনগরে পৌঁছান। পরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তারসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে অবস্থিত সরকারি শিশুপরিবারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, মুজিবনগরে খুব শিঘ্রই রেল সংযোগ স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে সে বিষয়টি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সকে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই টাকা কাজে লাগিয়ে দেশের সর্বাধুনিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবো। আমাদের এই উন্নয়ন অব্যহত রাখতে সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই জনপদের নাম হওয়ায় মুজিবনগরবাসী দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মুজিবনগরে একটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করে সেই দাবি পূরণ করেছেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধুর নামের এই এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে আমাকে জনপ্রশাসনের মত গুরত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করেছেন। মুজিবনগরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী পত্মী সৈয়দ মোনালিসা ইসলাম, জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিন আখতার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামিম আরা হীরা, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, দারিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল বারী বকুল। স্বাগত বক্তব্য দেন মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনা করেন মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলিফ হোসেন।