1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
মুখোশের আড়ালে সোনা চোরাচালানের নায়ক দিলীপ আগরওয়ালা | Nilkontho
১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
শৈলকূপায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ! সাংবাদিকতা হতে হবে পুরো সত্য, আংশিক নয় : কাদের গণি চৌধুরী ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ তারেক রহমানকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫ মামলা, গ্রেফতার ১০০ সিরাজদিখানে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শিগগিরই রোডম্যাপ, দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর একদিন বিশ্বের মানুষ ভারতের ভিসার জন্য লাইনে দাঁড়াবে: মোদি চুয়াডাঙ্গায় কবরস্থান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার, পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে : গভর্নর হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন নারী শ্রমিক নিহত আজ পর্দা উঠবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ বললেন বাইডেন জাতীয় ঐক্যে ফাটলের চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল ‘রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি শাখাগুলো দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে’ মাইজভাণ্ডারী একাডেমি’র সপ্তদশ শিশু-কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ আমেরিকায় মসজিদ ও মুসলমান নানা উদ্যোগেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না চালের দাম ওমরাহ পালনকারীদের যে পরিভাষাগুলো জানা উচিৎ ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ

মুখোশের আড়ালে সোনা চোরাচালানের নায়ক দিলীপ আগরওয়ালা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মানবিকতার ফেরিওয়ালা সেজে মুখোশের আড়ালে সোনা চোরাচালানের অপ্রতিরোধ্য নায়ক হয়ে ওঠা দিলীপ আগরওয়ালার উত্থান সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে উঠে আসা সাধারণ দিলীপ আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতা, নারী আর সোনা চোরাচালানকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যান। আর এটিকেই নিজের অর্থবিত্ত আর অবৈধ সম্পদের সিঁড়ি বানিয়ে হয়ে ওঠেন অপরাধজগতের বেপরোয়া মাফিয়া। নিজেকে বড় আওয়ামী লীগার পরিচয়ে সভা-সমাবেশে, বক্তব্যে অনিয়ম-দুর্নীতি, মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে সততার বন্দনা করেছেন অবিরাম।

অথচ আড়ালে ছিলেন অন্ধকারজগতের কারিগর। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-আমলাদের নাম ভাঙিয়ে গত দেড় দশকে গ্রামের সাধারণ দিলীপই হয়ে ওঠেন হাজার কোটি টাকার মালিক।

সরেজমিন চুয়াডাঙ্গা ঘুরে ও তাঁর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্যই পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, দিলীপ আগরওয়ালার মুখোশের আড়ালের ছবিটি সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না।

সবার চোখে ধুলা দিয়ে চোরাকারবারির কালো অধ্যায় গড়ে তুলেছেন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা দীলিপ কুমার আগরওয়ালা। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বন্ধু ওয়াজ কুরুনি টিটুর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন দিলীপ। ঠিকাদারি ব্যবসায় সুবিধা করতে না পারলেও নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জনরোষের শিকার হয়ে পালিয়ে যান ঢাকায়। সেখানে গিয়ে তাঁর কাকা পবন আগরওয়ালার সঙ্গে সিনেমার কাজ শুরু করেন।

সেই সুবাদে তখনকার উঠতি বয়সী মডেল-নায়িকাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন দিলীপ। সিনেমা ব্যবসার পাশাপাশি রাজধানীতে সোনার দোকান ছিল পবনের। সেই ব্যবসার কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পান দিলীপ।

চতুর দিলীপ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিশেই সোনা ব্যবসার গোমর জেনে যান। কৌশলে বাড়তি অর্থ আয়ের পথ খুঁজে বের করেন তিনি।

সীমান্তবর্তী এলাকায় জন্ম নেওয়া দিলীপের চোরকারবারিদের সঙ্গে কৈশোর থেকেই চেনাজানা ছিল। ফলে সহজেই সীমান্তবর্তী চৌগাছা, মহেশপুর ও জীবননগরের বিভিন্ন পয়েন্টের কারবারিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। প্রথম দিকে ব্যবসায় সুবিধা করতে পারছিলেন না দিলীপ। এরপর কৌশল হিসেবে উঠতি বয়সীদের নিয়ে গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট। যারা বিনিয়োগের জন্য অর্থের সংস্থান করে। সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ধীরে  ধীরে ব্যবসার সম্প্রসারণ করেন তিনি।

সূত্র বলছে, ব্যবসার শুরুতে পবনের দোকান থেকে দুবাই, সিঙ্গাপুর থেকে পাচার হওয়া সোনা সংগ্রহ করতেন ব্যবসায়ীরা। ধীরে ধীরে এই ব্যবসা প্রসার হতে থাকে। ২০০৫ সালের দিকে কৌশলে পবনের প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে গড়ে তোলেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন আমলা-মন্ত্রীদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। এমনকি তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য উঠতি বয়সী মডেল ও নায়িকাদের ব্যবহার করতে থাকেন।

এরপর দিলীপকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়ায় নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা সীমান্তে গড়ে তোলেন শক্ত সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, যশোরের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শাহিন চাকলাদার, ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টু, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ কয়েক উপজেলার অন্তত ২৫ জন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ছিলেন বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে। এক পর্যায়ে দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশ থেকে অবৈধ পন্থায় সোনা এনে ভারতে পাচার করতে থাকেন। এভাবেই কয়েক বছরের ব্যবধানে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

মানবসেবার গাড়িতে সোনা পাচার

‘মানবসেবাই ধর্ম’ স্লোগানে দিলীপ কুমার তাঁর মা তারা দেবীর নামে চুয়াডাঙ্গা শহরে গড়ে তোলেন তারা দেবী ফাউন্ডেশন। কথিত এই মানবিক ফাউন্ডেশন জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে কোনো ধরনের অনুমোদন নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, ফাউন্ডেশনের আড়ালে সোনা চোরাচালান করতেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এ জন্য ফাউন্ডেশনের নামে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সও কেনেন। অ্যাম্বুল্যান্সগুলো মাঝেমধ্যে দিনের বেলায় জনসেবার জন্য ব্যবহৃত হলেও রাতে সোনা নিয়ে সীমান্তের দিকে ছুটে চলত বলে জানিয়েছে স্থানীয় অনেকেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মানবাধিকারকর্মী জানান, এজাতীয় প্রতিষ্ঠান অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কিভাবে চলছে, সেটাই বড় প্রশ্ন। এ রকম শত শত প্রতিষ্ঠান মানবিক কর্মকাণ্ডের নামে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশিদ বলেন, ‘তারা দেবী ফাউন্ডেশনের কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। এমনকি ওই নামের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আবেদনও করা হয়নি। ’

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রজীবনে অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির ছিল দিলীপ। সে সময় তার পারিবারিক সচ্ছলতা ছিল না। তার বাবা একটি সিনেমা হল পরিচালনা করতেন। হঠাৎ করেই এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে যায় সে। বছর দুয়েক আগে লোকমুখে শুনি দিলীপ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। শুনে আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছিল। পরে জানতে পারলাম সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সে। এখন এলাকায় এসে সততার মুখোশ পরে মানবিক কাজকর্ম করে দানবীর হতে চাচ্ছে। ’

দিলীপের স্কুলজীবনের সহপাঠী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দিলীপ পড়ালেখায় তেমন ভালো ছিল না। টেনেটুনে ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ার পর্যন্ত পড়েছিল। অভাব-অনটনে পড়ে নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে ঢাকায় চলে যায়। সে সময় এলাকায় আসত না দিলীপ। হঠাৎ ২০০৯ কিংবা ২০১০ সালের দিকে দামি গাড়িতে করে এলাকায় আসে। তখন তার মুখ থেকেই শুনলাম সে নাকি আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়েছে। বড় বড় মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে মোবাইল ফোনে ছবি দেখাল। ’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে জানতে পারি, দিলীপ সোনা চোরাকারবারে জড়িয়ে এত অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে। এলাকায় তারা দেবী ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছে। শুনেছি ওই প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে অবৈধ সোনা চোরাচালান করে থাকে দিলীপ। ’

 Save as PDF
এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১