1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
মিয়ানমারের সহিংসতার এক মাস পরও নির্যাতনের ভয়ে এখনো পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা | Nilkontho
১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন ফিলিস্তিনিরা জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্তে সর্বদলীয় বৈঠক আজ শিক্ষার্থীদের আটক করা মাটিভর্তি ট্রাক্টর ছেড়ে দিল পুলিশ, আবারো শুরু ফসলী জমি কেটে পুকুর ভরাট রাইসট্রান্সপ্ল্যান্টারের ম্যাধমে ধানের চারা রোপন উদ্বোধন ইবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ গড়াই পরিবহনের বাস আটক আলমডাঙ্গার চিৎলায় সেচ্ছাসেবক দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শত্রুতার জের ধরে কচুয়ায় ছাত্রের কান কেটে দিল প্রতিপক্ষ ॥ আটক ১ বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য শেরপুর বিএনপির মিছিল রাবিতে সংবাদিকদের ভবিষ্যত নিয়ে কর্মশালার আয়োজন চুয়াডাঙ্গা কুতুবপুর ইউনিয়নের ষোলকোনা খালে পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন এনসিটিবির সামনে আদিবাসী ও স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির সংঘর্ষ চট্টগ্রামে চেকপোস্টে পুলিশের উপর হামলা, আটক ২ পঞ্চগড়ে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে কারাগারে পাঠালেন আদালত কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে ব্যবসায়ী লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে ওরছ অনুষ্ঠিত সুইজারল্যান্ড সফর দিয়ে বছর শুরু করবেন ড. ইউনূস মায়ের নামে মসজিদ নির্মাণ করলেন ডিপজল মুক্তিযুদ্ধের সেই আইকনিক ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান অবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ সংস্কার প্রস্তাব জমা দেবে চার কমিশন

মিয়ানমারের সহিংসতার এক মাস পরও নির্যাতনের ভয়ে এখনো পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: মিয়ানমারের আরকান রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার এক মাস পরও সেনাদের নির্যাতনের ভয়ে এখনো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রাতের বেলায় এসব রোহিঙ্গা এদেশে আসছে। আগের মতো দলে দলে না আসলেও নাফ নদী সীমান্ত পেরিয়ে আসছে শতশত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, টেকনাফ নাফনদীর পাড়ি দিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে এখনো রোহিঙ্গাদের আগমন বন্ধ হয়নি। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আগের মতো ঢলে ঢলে না আসলেও প্রতিদিন-রাতে প্রায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা এপারে আশ্রয় নিতে পালিয়ে আসছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানায়, রাখাইন এখনো অশান্ত ও উত্তপ্ত। তাদের নির্যাতনের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। গত কয়েক দিন ধরে প্রায় অর্ধশত রোহিঙ্গা টেকনাফ বাস ষ্টেশন এলাকায় অপেক্ষা করছিল অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে যাওয়ার জন্য। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে তারা এদেশে অনুপ্রবেশ করে। রাখাইনের মংডু বদুছড়া এলাকার মনির আহমদ ও হাস্যুরাতার এলাকার জয়নাল , মরিয়ম খাতুনের সাথে। তারা জানায়, গতকাল ভোরে মা-বোন, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ ৮ জন শাহপরীরদ্বী সীমান্ত দিয়ে দালালদের মাধ্যমে এপারে আসে। তিনদিন আগে সেনারা বদুছড়া গ্রামে অভিযান চালায়। বাড়ী ঘরে আগুন দেয়। বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে এদেশে আসতে হয়েছে। অবশ্য এর আগে থেকে সেনারা গ্রামের বেশ কিছু লোকজনকে ধরে নিয়ে যায়। তারপরও কিছু মানুষ এখনো গ্রামে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে বলে জানায় তারা। সীমান্ত পেরোতে জনপ্রতি মিয়ানমার ৫০ হাজার কিয়াত দালাদের দিতে হয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে স্বামী-সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছে অনেকে। গতকাল বিকালে আবদুর রহিম এক সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় বসে ছিল টেকনাফ পৌরসভার উপরে বাজার ফরিদ মার্কেটের নিচ তলায়। মা, সন্তান উভয়ে ছিল ক্ষুধার্ত অবস্থায়। এসময় স্থানীয় লোকজন কিছু শুকনো খাবার রুটি, কলা, পানি খেতে দিলে গোগ্রাসে খেতে থাকে। আবদুর রহিম জানায়, গত বুধবার সকালে সীমান্ত পার হয়ে স্বামী ও দুই সন্তানসহ এদেশে আসে। সকালে শাহপরীরদ্বীপ হতে টেকনাফ আসতে গিয়ে হারিয়ে ফেলে বয়োবৃদ্ধ স্বামী ও ওমর ফারুক আড়াই বছরের এক সন্তানকে হারিয়ে ফেলে। দিশেহারা আবদুর রহিম অপর এক সন্তান সাদিয়া (১) কে নিয়ে কোথায় যাবে জানেনা। সে আরো জানায়, ৮/১০ দিন আগে সেনারা তাদের গ্রামে অভিযান চালিয়ে কয়েকশত বাড়িতে আগুন দেয়। ১৫ জনের অধিক লোককে হত্যা করে।
এছাড়া গত বুধবার দুপুরে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের মংডুর খুইন্যা পাড়া এলাকা থেকে আসে ১৮ জন রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা। ওই নৌকার রোহিঙ্গা নারী ছলিমা খাতুন (৩৮) জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের গ্রামটি গত চারদিন আগে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল। গ্রামটি এখন জনমানব শূণ্য, সেখানে শুধু ধ্বংসস্তুপ আর পোড়া গন্ধ। গ্রামের সবাই আগেই চলে এসেছে, তারা সবশেষ এসেছেন। ওই গ্রামটি এখন রোহিঙ্গা শূণ্য।
ছলিমা জানায়, মিয়ানমারের বর্বর সেনারা তাদের গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে অন্যদের মতো তারাও গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়ায়। তাদের গ্রামের অন্যরা আগে থেকে বাংলাদেশে চলে আসলেও তারা গত চারদিন মিয়ানমার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় অবস্থান নেয়। নাইক্ষ্যংদিয়ায় তাদের সাথে অবস্থান করা অন্য রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসলে তারা সেখানে পড়শিহারা হয়ে আরো দু,দিন অপেক্ষা করে।
ওই রোহিঙ্গা নারী আরো জানায়, তারা নাইক্ষ্যংদিয়ায় অবস্থান করে পুনরায় তাদের পোড়া গ্রামে ফিরে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ বেলায় এসে দেখে তাদের সেই পোড়া গ্রামে এখনো সেনারা দিনরাত টহল দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ওই গ্রামের সবাই এখন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাই তারাও বাংলাদেশ আসতে বাধ্য হয়।
মংডুর গর্জনদিয়া থেকে আসা অন্ত:সত্বা রোহিঙ্গা নারী মদিনা বেগম (৩৫) জানিয়েছেন, নৌকা ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে না পারায় তারা এতোদিন বাংলাদেশ আসতে পারেনি। ওপারের সেনাদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে ঝোঁপেঝাড়ে খেয়ে না খেয়ে কোন মতে পালিয়ে দিন কাটছিল তাদের। কিন্তু এতোদিনে রাখাইনের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় দিনমজুর স্বামী রহিম উল্লাহ আত্মীয় স্বজন থেকে ধার করা টাকায় নৌকা ভাড়া দিয়ে তাদের বাংলাদেশ নিয়ে এসেছেন। নৌকার মাঝি তাদের প্রতিজন থেকে ৫ হাজার টাকা করে আদায় করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার রাখাইনে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আগমন এখনো থামেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওপার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অভিযোগ রাখাইন এখনো পুড়ছে। তাই অশান্ত রাখাইনে তাদের জীবন অনিরাপদ।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খান বলেন, ‘শুরু থেকেই সার্বিক দিক থেকে আমরা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছিলাম। আমাদের সঙ্গে বিজিবিও কাজ করেছে। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাটা কষ্টকর হয়ে পড়ছিল। সর্বশেষ সেনাবাহিনী মাঠে নামার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বস্তিবোধ করছে। বলতে গেলে এখন শৃঙ্খলা চলে এসেছে সবদিকেই।’ উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা শুরু করে দেশটির সরকারি বাহিনী। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, রোহিঙ্গাদের হত্যা করা হয়। নৃশংস নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে দলে দলে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা

 Save as PDF

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time
  • Invalid Adjusted Time

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১