নিউজ ডেস্ক:
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মে মাসে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছে ৩০৬ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৪ হাজার ৭৫০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের মাস এপ্রিল এবং গত বছরের এ সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুন মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, রপ্তানি আয় বাড়লেও এটি গত মে মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। সদ্যসমাপ্ত মাসে ৩৩৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ইপিবি’র প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মে মাসে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছিল ৩০২ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে।
একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসের তুলনায়ও মে মাসের রপ্তানি আয় ২৯ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছিল ২৭৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
জুন মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল মোট ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস অর্থাৎ জুলাই-মে মেয়াদে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৩৩৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩ হাজার ১৭৯ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবারের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৬৬ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৬২ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এই খাতের রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতের পণ্য রপ্তানিতে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে ১ হাজার ৩১১ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।