নিউজ ডেস্ক:
বেশ কিছুদিন ধরেই মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সরকার। শুরুতে ব্যাপক আকারে ধরপাকড় করা হলেও ইদানিং তা থেমে থেমে চালানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ওইসব অভিযানে বাংলাদেশের অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন।
অভিযানের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাংলা মার্কেটখ্যাত কোতারায়াতে আজ ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতো মোস্তাফার আলীর নেতৃত্বে ইমিগ্রেশন, পুলিশ, রেলা ও ডিবি কেএল’র যৌথ অভিযান চালানো হয়।
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া প্রায় আড়াই ঘণ্টার এ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৫৮০জন অভিবাসীকে আটক করে যৌথ বাহিনী। পরে আটকদের মধ্য থেকে থেকে কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ১৮০ জনকে আটক দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়। তবে কোন দেশের কতজনকে আটক করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
অভিযান শেষে ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক সাংবাদিকদের জানান, সস্তা মজুরির কারণে, কিছু কিছু নিয়োগকর্তা বৈধ পারমিট ছাড়া বিদেশী কর্মীদের নিয়োগের মাধ্যমে বার বার আইন ভাঙার জন্য ইচ্ছুক। এই সমন্বিত ক্রিয়াটি ক্রমাগতভাবে প্রতিনিয়ত চলছেই, যা শৃঙ্খলা, জনগণ, দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও কল্যাণকে সমর্থন করে না। তাই ধারাবাহিক রুটিন হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।
‘চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষার সময়, বিদেশী নাগরিকদের সঙ্গে পতিতাবৃত্তি কার্যকলাপে জড়িত পড়া একটি গ্রুপকেও আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জিম (মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগ) এই সমস্ত কার্যকলাপের অনুমতি দেই না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যারা এতদিন এসব করে আসছে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার ব্যাপারেও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দুপুরে রাজধানীর চারপাশে হঠাৎ বিদেশী অভিবাসীদের নজরদারি করার জন্য একত্রিত অপারেশন পরিচালিত হয় বলেও জানান ইমিগ্রেশন অধিদফতর। এসময় মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগ (জিম), সিটি হল কুয়ালালামপুর (ডিবিকেএল) এবং রয়েল মালয়েশিয়ার পুলিশ (পিডিআরএম) দ্বারা ইন্টিগ্রেটেড অপারেশন পরিচালিত হয়।
অভিযানে আটক ১৮০ জনের মধ্যে মিয়ানমার, বাংলাদেশ, নেপাল, ভিয়েতনামসহ বেশ কিছু দেশের নাগরিক রয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ এমন অভিযানে কোতারায়া বাংলা মার্কেটের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে বর্তমানে আতঙ্ক বিরাজ করছে।