হাবিবুল ইসলাম হাবিব: মায়ানমারে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ভোগকারী ১৭ বাংলাদেশীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়,৫ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় মায়ানমারের মন্ডু অভ্যন্তরে ১নং এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্টে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্য প্রতিনিধি দল এবং বিজিপির টিং লিনের নেতৃত্বে ৯সদস্য প্রতিনিধি দলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পতাকা বেঠকে উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনা শেষে মায়ানমার ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট সে দেশে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগকারী চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাশিরা বাড়ির লেদু মিয়ার পুত্র বদিউল আলম, টেকনাফের উত্তর শীলখালীর আব্দুস শুক্কুরের পুত্র রহিম উল্লাহ, নুরুল কবিরের পুত্র মুফিজুর রহমান, আজিজুল ইসলামের পুত্র আনোয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু থানার দক্ষিণ কলাতলীর মোঃ শফিকের পুত্র মোঃ সামির, টেকনাফ সদরের গোদারবিলের মোঃ সাব্বিরের পুত্র মোঃ শাকের আহমদ, কক্সবাজার ঘোনার পাড়ার আসগর আলীর পুত্র মোঃ জালাল উদ্দিন, সাবরাং হারিয়াখালীর আব্দুল আমিনের পুত্র মিজানুর রহমান, লাফারঘোনার মৃত কালু মিয়ার পুত্র নুরুল আলম, হারিয়াখালীর আব্দুর রশিদের পুত্র আজিজ উল্লাহ, আব্দুল মজিদের পুত্র আব্দুস সালাম, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার নেংটা ফকির পাড়ার ওয়াশিউর রহমানের পুত্র মোঃ হেলাল, শাহপরীর দ্বীপের মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র মোহাম্মদ জালাল, মৃত সেতাব্বরের পুত্র আবু তাহের, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বড়লোনা কুঞ্জুরী পাড়ার অং জো মারমার পুত্র সে থো অং মারমা, মংপ্রæ মারমার পুত্র ইউ সাথোই মারমা ও চট্টগ্রামের বাশঁখালী উপজেলার সরল বাজারের আইয়ুব আলীর পুত্র জামাল উদ্দিনকে বিজিবি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেন।
এদিকে ফেরত আসা ১৭জনের মধ্যে ৫বছর ৯মাস সাজাভোগী জামাল উদ্দিন বলেন, সাগরে মাছ শিকারে গিয়েই ওপারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন। এদিকে চাকমা ছেলেদ্বয় চোরাইপথে ওপারে বেড়াতে গিয়ে আটক হয়। অপরদিকে ১২জন দালালের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে আটক হয়ে হাজত বাসের পর অবশেষে দেশে ফিরলেন।
মিয়ানমার হতে ফেরত আনা নাগরিকদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের নিমিত্তে দুপুরেই সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।