লিবিয়ায় অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:
লিবিয়ায় অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় আর্ন্তজাতিক মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আব্দুস সামাদ নামের একজনকে আটক করেছে মেহেরপুর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত রোববার রাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক আব্দুস সামাদ (৩৩) একই উপজেলার কসবা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। রাতে তাঁকে আটকের পর সিআইডির মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, লিবিয়ায় পাচারকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনার পর সেখানে যাওয়া অন্যদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার জন্য বিদেশ পাড়ি জমানো ব্যক্তিরা ইতালি পৌঁছানোর আগেই অপহরণের শিকার হন। অপহরণকারীদের গুলিতে নিহত হন ২৬ বাংলাদেশি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও ১১ জন। আহতদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার একজন এবং আলমডাঙ্গার একজন রয়েছেন। এছাড়াও অবৈধ পথে লিবিয়ায় যাওয়া যুবকদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন নিখোঁজ। দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। কেউ জানেনা কী আছে তাঁদের ভাগ্যে।
মেহেরপুর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক হাসান ইমাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আব্দুস সামাদকে ভোলাডাঙ্গায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করা হয়। রাতে সামাদকে সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, আটক আব্দুস সামাদ স্থানীয় দালাল হিসেবে চিহ্নিত। তিনি বিভিন্ন দেশের দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন লোক পাঠিয়েছেন। আব্দুস সামাদের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া যুবকদের মধ্যে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ যুবকও রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।