জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ মাদক কেনাঁেবচা দেখে ফেলায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ীকে শাহিন উদ্দিন (৩৫)কে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করেছে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে উপজেলার দারিয়াপুর ও চাঁদপুর সড়কের মেহেগনি বাগান নামকস্থানে। আহত শাহিনকে উদ্ধার করে রোববার রাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শাহিন হরিণাকুন্ডু উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার জড়িত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী শাহিন উদ্দিন জানান, রোববার রাতে তিনি ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে কাঠ ব্যবসা শেষে ব্যাটারীচালিত ভ্যান করে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে দারিয়াপুর ও চাঁদপুর সড়কের মেহেগনি বাগান নামকস্থানে পৌছালে মাদক ব্যবসায়ী মাদক কেনাঁেবচা দেখতে পান। দেখা মাত্রই তার কাছে এসে বিভিন্ন জবাবদিহিতা শুরু করেন মাদকব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে এলাকার সন্ত্রাসী এবং হরিণাকুন্ডুর আলফাজ মেম্বর হত্যা মামলার আসামী হাবিবুর, লিটন, জাহিদ, তরিকুল ও আকরাম ওই ব্যবসায়ীয়কে ভ্যানসহ মেহেগনি বাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ৪০হাজার টাকা, মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে যায়। তিনি প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। তাদের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার তরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতের পিতা ফজলুর রহমান, বোন লাভলী খাতুন ও স্ত্রী রুপালী বেগম দাবি করে জানান, হত্যার চেষ্টাকারী এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও মাদকব্যবসায়ী। তারা সম্প্রতি এলাকার আলফাজ হত্যার মামলার জামিনে মুক্তি পেয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তাদের অত্যাচারে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তারা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতারের কর্তব্যরত ডাক্তার শাহিন উদ্দিনের শ্বাসনালীতে ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে ও তিনি বর্তমানে আশংকামুক্ত বলে সাংবাদিকদের জানান। এব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কাজী আইয়ূবুর রহমান জানান, কাঠ ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপার কাপাসাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জোয়ারদার ও দারিয়াপুর গ্রামের মেম্বর সোলায়মান হক উথান জানান, কাঠ ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টার আসামী হাবিবুর, লিটন, জাহিদ, তরিকুল ও আকরাম এরা সবাই আলফাজ মেম্বর হত্যা মামলার আসামি ও তারা কাঠ ব্যবসায়ী শাহিনের নিকটে থাকা ৪০হাজার টাকা, মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে বলে লোক মুখে শুনেছি।