স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সভবন নির্মান কালিন সময়ে এলাকার রাজাকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা ও মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানির প্রতিবাদে গতকাল শনিবার দুপুরে মহেশপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ভবনে সংবাদ সম্মেলন, প্রধান মন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদানসহ লাল পতাকা হাতে র্যালী করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ড. আব্দুল মালেক গাজি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবোজ¦ল ভাবমুর্তি রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সভবন নির্মানের জন্য সরকার ২ কোটি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। শুধুমাত্র জায়গার অভাবে ভবনের কাজ শুরু করতে পারছিলামনা। মুক্তিযোদ্ধারা প্রয়োজনীয় জায়গার জন্য বর্তমান ও সাবেক আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্যদের কাছে ধর্ণা দিয়ে মিথ্যে আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাইনি।
বরাদ্দকৃত টাকা ফেরৎ নেওয়ার জন্য বার বার যখন তাগিদ আসছিলো ঠিন সে সময় আমাদের ঘনিষ্ঠ মুন্সি ফেরদোৗস ৯৮ শতক জমির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য ১০ শতক দানের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ঐ জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে রাজাকার হামদুল জমিটি সস্পুর্ন অবৈধ ভাবে দখল করে বসে আছে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন জমির মালিক মুন্সি ফেরদোৗস গত ১৯/০১/ ২০১৬ তারিখে বিনা টাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে দানপত্র রেজিষ্ট্রি করে দেন। পরে মুক্তিযোদ্ধারা গত ২৬/০২/২০১৬ তারিখে জমিটি দেখতে গেলে হামদুল রাজাকারের সহযোগিরা অর্তকিত লাঠি, রড, দা,ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা করে। এ সময় ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা গুরুতর ভাবে আহত হয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খানের আশ্বাসের কারনে আমরা সে সময় কোন মামলা না করলেও হামদুল রাজাকারের সহযোগীরা মুক্তিযোদ্ধাসহ জমি দাতার বিরুদ্ধে একের পর এক ১৪টি মিথ্যা মামলা করেছে। শুধু তারা মামলা করেই খ্যান্ত হয়নি এখন মুক্তিযোদ্ধাদের জীবননাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ড. আব্দুল মালেক গাজী সাংবাদিকদরে প্রশ্নের উত্তরে বলেন কিছু আওয়ামীলীগের নামধারী নেতাদের মদদেই জমি দাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একের এক মিথ্যা মামলা গুলো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার রবিউল আওয়াল, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তালেব, গোলাম মোস্তফা, পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ উপজেলার প্রায় ২২৫ মুক্তিযোদ্ধাসহ ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জ ও মহেশপুরের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।