ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলায় মোবাইলে প্রেম ও পরিচয়, ধর্ষনের পর নাবালিকা তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মহেশপুর বজরাপুর গ্রামের মিঠু বিশ্বাসের ছেলে রোকনের (২০) সাথে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের নবম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ঈদের দিন সকালে মেয়ে ও তার ছোট বোন ফুবু বাড়ি বজরাপুরে আসতে হাসাদাহ বাজারে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ধর্ষক রোকন ও তার চার সহযোগী বন্ধুর সাথে দেখা হয়। পরে রোকন ও তার চার বন্ধু তাকে ফুবু বাড়ি পৌছে দেবার কথা বলে তার বোন এবং তাকে নিয়ে মহেশপুরের কাকিলাদাঁড়ি নামক স্থানে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়, পথে মধ্যে তারা দুই বোনকে চেতনা নাশক টিস্যু নাকে শুকিয়ে অচেতন করে ফেলে তার পর কাকিলাদাঁড়ি মাঠের ভিতরে তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আখ ক্ষেতের মাঝে তৈরী ঝুপড়িতে নিয়ে যায়।
তারপর ছোট বোনটিকে রাস্তার পাশে রেখে বড় বোনকে ধর্ষণ করে, যন্ত্রনার একপর্যায়ে মেয়েটির চিৎকারে পাশ্ববর্তী মূলা ক্ষেতে কাজ করা কৃষকরা দুই মেয়েকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক রোকন পালিয়ে যায়। রোববার সকালে ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধায় থানায় লিখিত অভিযোগ করে পরিবারের পক্ষ থেকে। স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েক বার শালিস করা চেষ্টা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে ধর্ষক রোকন ও তার সহযোগীরা নিযাতীতার পরিবার এবং মেয়েদের উদ্ধার করা কৃষকদের প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। বর্তমানে এ বিষয়ে মহেশপুর থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবীর জানান, নির্যাতীতা মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি, খুব তাড়াতাড়ি তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।