স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ অসহাই গরীব বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম নেওয়াটাই ছিলো সালমা খাতুনের অপরাধ। বাবা-মায়ের কাছে সালমা খাতুন ভালো জামা-কাপড় চেয়েছিলো কিন্তু বাবা-মা গরীব হওয়ার কারনেই মেয়ের সে আশা টুকু পুরন করতে পারেনি। আর সে কারনেই সালমা খাতুন (২০) মনের দুঃখে নিজ ঘরে গলার ওরনা পেচিয়ে আতœহত্যার পথ বেছে নিলেন।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের পাথরা গ্রামে। এলাকাবাসী ও থানা সুত্রে জানাগেছে, মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের পাথরা গ্রামের ইদ্রাহীম মিয়ার মেয়ে সালমা খাতুন কয়েক দিন ধরে তার বাবা-মায়ের কাছে ভালো জামা-কাপড় দাবি করে আসছিলো। কিন্তু গরীব অসহাই বাবা-মায়ের পক্ষে মেয়ের দাবিটা পুরন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বাড়ীর সবার অজান্তে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নিজ ঘরে গলার ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করে সালমা খাতুন।
মহেশপুর থানার এস,আই মাসুম বিল্লাহ জানান, মেয়েটি মনের দুঃখে নিজ ঘরে নিজেরই গলার ওরনা পেচিয়ে আতœহত্যা করেছে। আতœহত্যার ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।