নিউজ ডেস্ক:
পৃথিবী থেকে ১১ আলোক বর্ষ দূর থেকে ভেসে এসেছে অজানা সংকেত। খুবই ক্ষুদ্র এক গ্রহ, যাকে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বামন গ্রহ বলছেন, সেখান থেকেই এই সংকেত ভেসে এসেছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
আমাদের পরিচিত সূর্যের চেয়ে অন্তত ২৮০০ গুণ ছোট ও ম্লান তারা ‘রস ১২৮’। প্রাথমিকভাবে টেলিস্কোপে লাল রংয়ের এক তারা হিসেবেই একে দেখা যায়। একে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করা কোনও গ্রহ উপগ্রহও চোখে পড়েনি কখনও।
পোর্তো রিও বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এখান থেকেই নাকি ভেসে এসেছে কিছু অদ্ভুত রেডিও সংকেত, যার ব্যাখ্যা মিলছে না। পোর্তো রিওর এক সিঙ্কহোলের ভিতরে অবস্থিত আরেসিবো মানমন্দিরের বিশালাকায় রেডিও টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে সেই সংকেত।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এখানেই। মহাকাশের ওই খুদে তারা থেকে কারা সংকেত পাঠালো। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের হদিস মেলেনি।
তবে ভিন্ন মত পোষণ করছেন পোর্তো রিওর মহাকাশ জীববিজ্ঞানী এবেল মেন্ডেজ। তিনি যদিও বলছেন যে এই সংকেতের পিছনে ভিন্ন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে তাঁর মত মহাকাশে মানুষের তৈরি কোনও যন্ত্র, কোনও উপগ্রহ থেকেও সংকেত ভেসে আসতে পারে। যা ধরা পড়েছে ওই টেলিস্কোপে।
মেন্ডেজের দাবি আরেসিবো মানমন্দিরের রেডিও টেলিস্কোপ যথেষ্ট চওড়া হওয়ায় মহাকাশে ভেসে বেড়ানো মানুষের তৈরি কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে সংকেত তাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকছে।
তবে একেই প্রমাণ বা চূড়ান্ত কারণ বলে ধরে নিতে নারাজ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে রহস্যের কিনারা করতে হবে ধীরে ধীরে। বলা যায় না, হয়ত মিললেও মিলতে পারে অন্য গ্রহে প্রাণের সন্ধান। তাই হাল ছাড়ছেন না বিজ্ঞানীরা। চলছে গবেষণা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন