নিউজ ডেস্ক:
মন্দিরে ভক্তদের সমাগম লেগেই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বরের দরবার সকলের জন্যই অবারিত দ্বারা। কিন্তু সাতসকালে যে এমন দৃশ্য দেখবেন মন্দির চত্বরে তা কল্পনাও করতে পারেননি ভারতের কর্নাটকের বাগালকোট গ্রামের পুরোহিত।
সকালে মন্দিরে যেয়েই তিনি দেখলেন মন্দিরের ভিতরে আশ্রয় নিয়েছে একটি কুমির। লম্বায় প্রায় ১২ ফুট তো হবেই। তার চেয়ে বেশিও হতে পারে। নিজের বিশাল দেহ নিয়ে মন্দিরের ভিতরে অবাধে বিচরণ করছে সে। এমন দৃশ্য দেখেই চমকে ওঠেন পুরোহিত। মন্দিরে সকলের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে বটে, কিন্তু তা বলে এমন ভয়ানক ভক্তকে আশা করেননি তিনি। প্রাণ বাঁচলে তবেই না সবকিছু বাঁচবে। তাই তড়িঘড়ি গ্রামের মানুষদের খবর দেন পুরোহিত ।
এরপর সবাই মিলে দড়ি দিয়ে তাকে বাঁধার চেষ্টা করেন। যাতে পথ হারানো অযাচিত পথিকটিকে সঠিক দিশা দেখানো যায়। কিন্তু প্রথমে কিছুতেই বশে আনা যাচ্ছিল না বিশাল প্রাণীটিকে। শেষে কোনওভাবে তাকে আয়ত্তে আনা যায়। অতি কষ্টে তুলে নিয়ে গিয়ে নিরাপদ স্থানে জঙ্গলের ভিতর ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভারতের বাগালকোট গ্রামে কুমির আসা অবশ্য কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু ইদানীং কুমিরের উৎপাত ভীষণই বেড়ে গেছে। এর জন্য অবশ্য প্রাণীগুলির কোনও দোষ নেই। সবই প্রকৃতির রুদ্ররূপের ফলাফল। আসলে চলতি মৌসুমে বৃষ্টির হার খুবই কম। তার উপরে তীব্র দাবদাহে এলাকার পুকুর, নদী-নালা সবই প্রায় শুকিয়ে কাঠ। তাই গরমের জ্বালা সইতে না পেরে বারবার লোকালয়ে চলে আসছে অবোধ প্রাণীগুলি। এতদিন খেতে-খামারে, বাড়ির ভেতরে পর্যন্ত কুমির ঢোকার ঘটনা ঘটেছে। এই প্রথম মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে ফেলল কোন কুমির।
গ্রামবাসীরা অবশ্য প্রতিবারই প্রাণীগুলিকে বাঁচিয়ে প্রকৃতির মাঝেই ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে হননি। এই কুমিরটিকে নিরাপদ স্থানে পাঠাতে পেরে খুশি তারা। তবে কুমিরের এই বারবার লোকালয়ে আসা নিয়েও বেশ চিন্তিুত সকলে। স্থানীয় প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।