নিউজ ডেস্ক:
গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় ছোট্ট দেশ কাতারের ওপর আরব দেশগুলোর অবরোধ আরোপ সত্ত্বেও দেশটির চোখ ঝলসানো মল ও বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে আগের মতোই রমরমা অবস্থা। কোথাও অবরোধের চিহ্ন অনুভব করা যায়নি। রাজধানী দোহায় আগের মতোই ভিড় জমাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নামিদামি লোকজন। তাছাড়া ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাসবাদ ও উপসাগরীয় দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে জুন মাসের শুরুর দিকে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের অভিযোগ অস্বীকার করে কাতার তার প্রতি অবরোধ আরোপের নিন্দা জানায়। যদিও অবরোধের মধ্যদিয়ে আরব দেশগুলো আসলে কাতারের সরকারে একটি পরিবর্তন আনতে চায়। তবে দেশটির ৩৭ বছর বয়সী আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির প্রতি কাতারি জনগণের ব্যাপক সমর্থনের কারণে তাদের সে আশা স্পষ্টত ধুলোয় মিশে গেছে।
দেশটি কীভাবে এমন একটা সংকট মোকাবেলা করতে পেরেছে?
সবদিক বিবেচনা করে সহজেই অনুধাবন করা যায় যে, মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদেশগুলোর অন্যতম এটি। ফলে কাতারি জনগণ প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলোর নাগরিকদের চেয়ে গড়পড়তাভাবে বেশি ধনী। দেশটির রয়েছে ৩৪০ বিলিয়ন বা ৩৪ হাজার কোটি ডলারের রিজার্ভ। এছাড়া নিউইয়র্ক ও লন্ডনের আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোতে কাতারের রয়েছে বিশাল অংকের বিনিয়োগ।