ভারতের মণিপুরের জিরিবাম জেলায় সোমবার সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ক্যাম্পে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা হামলা চালায়। সিআরপিএফ পাল্টা গুলি চালালে গোলাগুলিতে ১১ জন জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা গেছে। ঘটনায় এক সিআরপিএফ সদস্যও আহত হয়েছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
বরোবেকেরা থানার জাকুরাধোর এলাকায় এই গোলাগুলি হয়। এতে যুদ্ধের পোশাক পরা জঙ্গিরা নিহত হয় বলে জানা গেছে। জঙ্গিরা ওই এলাকার মেইতেই গ্রামে পরিত্যক্ত দোকানে আগুন লাগিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে তিন সপ্তাহ ধরে মণিপুরের বিভিন্ন অংশ থেকে বন্দুকযুদ্ধ ও হামলার ঘটনা ঘটছিল। এবার জিরিবামে গোলাগুলি হলো। ইম্ফল পূর্ব ও বিষ্ণুপুর জেলায় সোমবার সহিংসতায় এক কৃষকসহ দুজন আহত হয়েছেন।
জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (জেএনআইএমএস) চিকিৎসাধীন ইম্ফল ইস্টের নিউ কান্নানের কৃষক কানশোক হোরাম (৩৫) জানান, ইয়াইনগাংপোকপি সান্তি খোংবালের ধানক্ষেতে গিয়ে তিনি আহত হন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে আমি একটি গুলির শব্দ শুনতে পাই। যখন আমি নিজের দিকে তাকাই, তখন আমি একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। হামলাকারীরা সরাসরি আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমরা পালানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। কিছুক্ষণ পর বিএসএফ ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা আমাদের উদ্ধার করে।’
ইয়াইনগাংপোকপি পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফের একটি যৌথ দল গুলির শব্দ শুনতে পায় এবং ১০ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধের পর সাত কৃষককে উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, সম্মিলিত দলটি উয়োক মানিং চিং (উয়োক পার্বত্য অঞ্চল) এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে এবং কৃষকদের ওপর হামলা চালানোর জন্য সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাংকার ধ্বংস করে।
অন্য এক ঘটনায়, সোমবার রাত আড়াইটা নাগাদ কুকি অধ্যুষিত এলাকার নিকটবর্তী ডাম্পি পাহাড়ি অঞ্চল থেকে আসা জঙ্গিরা বিষ্ণুপুর জেলার সীমান্তবর্তী সাইটন গ্রামে হামলা চালায়। গ্রামটি বিষ্ণুপুর ও পার্শ্ববর্তী চূড়াচাঁদপুর জেলার সংযোগস্থলে অবস্থিত। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী হামলা প্রতিহত করলে কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলে, এতে এক গ্রাম্য স্বেচ্ছাসেবক আহত হন।