নিউজ ডেস্ক:
ভোলায় চলতি মৌসুমে আলুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম কম থাকায় আলুচাষিরা হতাশ।
নতুন আলু প্রতি কেজি ৮ থেকে সাড়ে ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।চাষিরা বলছেন, ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করতে পারলে তাহলে তারা খরচ পুষিয়ে নিতে পারতেন ।
জামাল উদ্দীন নামে ভোলার ইলিশার একজন আলুচাষি জানান, সার-কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি, মাঠশ্রমিক ব্যয়, পরিচর্যা সব মিলিয়ে আলুর উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কিন্তু বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়ায় সেই উৎপাদন খরচও পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে কৃষি বিভাগের লোকজন তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন চাষিরা। তাদের অভিযোগ, এ কারণে কোনো কোনো খেতে বিভিন্ন রোগবালাইর আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে। এ আক্রমণ ঠেকাতে গিয়েও অনেকের ব্যয়ভার বেড়েছে।অথচ কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকরা তাদের পরামর্শ শুনছেন না।
খেত থেকে আলু তোলা হচ্ছে
চলতি বছরে ভোলা জেলায় ৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার দেড়গুণ বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ জমিতেই আলুর ফলন খুব ভালো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন চাষিদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অন্যান্য অনেক ফসলের মতো আলুতে সরকারিভাবে সার, ওষুধ বা কীটনাশকে ভর্তুকি দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চাষিদের মধ্যে ভুল ধারণা জন্মেছে।
রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘যারা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে আলু চাষ করেছেন, তারা খুবই ভালো ফল পেয়েছেন।