নিউজ ডেস্ক:
এপ্রিলের শুরুতেই গরমে বাঁচা দায়। এখনও কালবৈশাখীর দেখা নেই। কে জানে কবে আসবে। প্রাণটা একটু জুড়াবে। সেই আশায় হাপিত্যেশ করে বসে বাঙালি। তাও ভাল, ইতিমধ্যেই বাজারে আগমন ঘটেছে তাদের। রোজ যাতায়াতের পথে নিশ্চয়ই চোখে পড়ছে। কাঁচা-পাকা, টক-মিষ্টি ফলগুলি। রসে টইটম্বুর রসরাজ আম। এমন মানুষ এই দেমৈ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যাঁর পছন্দের তালিকায় এই ফলটি নেই। ইতিমধ্যেই কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কিন্তু ভেজালের বাজারে যা কিনছেন সবই কী ভাল কিনছেন? হয়তো না। তাহলে? তাহলে আর কী? আসল-নকলের ফারাক জানুন। কীভাবে জানবেন?
গন্ধ দিয়ে যায় চেনা:
ফজলি হোক বা ল্যাংড়া, কিংবা হোক হিমসাগর ভাল আম চিনুন গন্ধ দিয়ে। ভাল আমের গন্ধ আপনি অনেক দূর থেকেই পেয়ে যাবেন। মিষ্টি আমের গন্ধও মিষ্টিই হয়। বৃন্তের দিকটা একটু শুকে দেখবেন যদি গন্ধটা একটু টক-টক মনে হয় তাহলে নেবেন না।
ছুঁয়ে পান পরিচিতি:
ভাল আম চেনার সবচেয়ে ভাল উপায় ছুঁয়ে দেখা। বৃন্তের দিকে একটু চেপে দেখুন। খুবই সামান্য। যদি প্রথমে শক্ত ও পরে নরম মনে হলে সেই আমটি কিনেই ফেলুন। তবে হ্যাঁ খুব বেশি নরম আম কিনবেন না।
গুণ বিচারের আগে দর্শনদারি:
গোলাকার হিমসাগর, লম্বাটে চৌসা কিংবা সবুজ-লালের গোলাপ-খাস। দর্শনেই আপনার মন জয় করে নেবে রসরাজ আম। কিন্তু যে আমের দাগ বেশি সেগুলি নেবেন না। আর দেখে নেবেন আমের খোসাগুলি টানটান থাকে।
বিক্রেতার কদর:
ফলের সঙ্গে সঙ্গে তা বিক্রির মালিককে চেনাও প্রয়োজন। সস্তার লোভে পড়ে অনেকেই অচেনা দোকানদারের থেকে আম কিনে বাড়ি নিয়ে চলে যান। কিন্তু ছুটির বিকেলে যখন আয়েশ করে খেতে বসেন। প্রথম কামড়েই মুখ টকে যায়। তাই চেনা দোকান থেকে চেনা ফলই নেওয়া ভাল। ক্রেতা ধরে রাখতে চেনা মানুষটি কখনও আপনাকে ঠকাবেন না।
পড়লেন? জানলেন। এবার দেখেশুনে কিনে ফেলুন। আর ভরা বৈশাখে থেকেই চেটেপুটে আম খান নির্ভয়ে।