চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগপত্র প্রদান
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: জমি নামজারী মোকাদ্দমায় খারিজ বা নাম পত্তনের কথা দিয়ে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ভুমি অফিসের এক প্রসেস সার্ভারের নামে। গত বৃহস্পতিবাপর সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ প্রদান করে এক ভুক্তভোগী। অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী আলমাডাঙ্গা বিনোদপুরের কুদ্দুস আলী জানান, আলমডাঙ্গা ভূমি অফিসের জারীকারক বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা রাজস্ব শাখার অধিনে ডেপুটেশনে আলুকদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত মো. তরিকুল ইসলাম নামজারী মোকাদ্দমায় খারিজ/নাম পত্তনের কথা দিয়ে তিন বছর আগে ৪০ হাজার টাকা নেয়। তিন বছর অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তরিকুল ইসলাম নাম পত্তন বা খারিজ করেনি। বর্তমানে টাকা ফেরত চাইলে তা ফেরত দিতে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করছে। অভিযোগে তিনি জেলা প্রশাসকের নিটক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।এ ব্যাপারে অভিযোগকারী আলমডাঙ্গা বিনোদপুরের মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে কুদ্দুস আলী বলেন, আলমডাঙ্গার ভূমি অফিসের জারিকারক মো. তরিকুল ইসলাম জমি খারিজ করার কথা বলে আমার কাছ থেকে নগদ ৪০হাজার টাকা নেয়। তিন বছর হয়ে গেলেও সে জমি খারিজ করেনি এবং বর্তমানে টাকাও ফেরত দেয় না। ফোন দিলে কেটে দেয় ধরে না। এদিকে, বিভিন্ন রকম দোষে অভিযুক্ত প্রসেস সার্ভার মো. তরিকুল ইসলামকে আলমডাঙ্গা ভূমি অফিস থেকে পানিশমেন্ট স্বরুপ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালের অধিনে এনে ডেপুটেশনে আলুকদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রসেস সার্ভার মো. তরিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে বহুবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ হলে অভিযোগকারী কুদ্দুস আলীকে চেনেনা এবং এ বিষয়ে কিছু জানেননা বলে জানিয়েছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। ভুক্তভোগীদের দাবি তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচারের।