নিউজ ডেস্ক:
নিজ দলীয় কর্মীদের যদি কোন ভুল-ত্রুটি থাকে তাহলে তা বাইরে নয়, ঘরের মধ্যে সংশোধন করাই ভাল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগের সংবাদ চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে উন্নয়নের সূচকগুলো তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে কোথায় গেছে দেশ। যারা একদিন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলেছিল বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই তারাই এখন বলছে বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নের মডেল।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বক্তৃতায় তিনটি অংশ থাকা উচিত। এক, আমরা কী করেছি দেশের জন্য; দুই, আমরা কী করব; তিন, বিএনপির যে অপশাসন সেটা সম্পর্কে দেশের মানুষকে জানাতে হবে। আর আমাদের যদি দলীয় কোনো কর্মীর ভুল-ত্রুটি থাকে, তাহলে তা ঘরের মধ্যে সংশোধন করাই ভাল। কারণ, কর্মীরাই আমাদের প্রাণ, কর্মীরাই হলো আমাদের চালিকাশক্তি।
বিএনপির ভিশন নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা রূপকল্প দিয়েছে। তারা একটি ভিশন দিয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় তখন মাথাপিছু আয় ১৪৩ মার্কিন ডলার। আর এইবার আমাদের মাথাপিছু আয় হয়েছে ১৬০২ মার্কিন ডলার। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সাল আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এই সময় আমাদের মাথাপিছু আয় ২০০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া তার ভিশন দিয়েছেন। তিনি তো ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০১ সালে নির্বাচন করেছেন। তখন কি কোনো লক্ষ্য দিয়েছেন? তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তার কোনো লক্ষ্য ছিল না। তিনি (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১কে অনুসরণ এবং অনুকরণ করেছেন। এটা হলো বাস্তবতা।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি বলেন, আমিও মনে করি, ভাল জিনিসকে কেউ যদি অনুসরণ বা অনুকরণ করে তাহলে তাকে বাহবা দেয়াই ভাল। তবে আমার ভাষায় খালেদা জিয়ার রূপকল্প দেওয়ার আগে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বারবার এই কথা ভাবি, আমরা ১৯৮১ সালে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম তার হাতে পতাকাটি তুলে দিয়ে। যার কারণে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলছে।’ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সরকারের আমলেই আমরা তিস্তার পানি আনতে পারব।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা দলের সুনাম রক্ষা করবেন। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন এবং ’৭১ সালের মতো যুবলীগের দুর্গ ঘরে ঘরে গড়ে তুলবেন।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মিজানুল ইসলাম মিজু, আনিসুর রহমান, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং মাইনুল হোসেন খান নিখিল।