কলকাতায় ঝিনাইদহের সোহাগ নিহত
নিউজ ডেস্ক:ভারতের চেন্নাইয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ঝিনাইদহের মইনুল আলম সোহাগ (৩৫)। গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোহাগ ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের অ্যাড. খলিলুর রহমানের ছেলে। গত শুক্রবার রাত পৌনে দুইটার দিকে কলকাতার শেক্সপিয়ার স্মরণিতে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় সোহাগসহ আরও এক বাংলাদেশি নারী নিহত হন। নিহত সোহাগের নিকটাত্মীয় নাসিরুল ইসলাম বুলু ও চাচাতো ভাই কাজী সজিব জানান, গত শুক্রবার রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে কলকাতার শেক্সপিয়ার স্মরণি ক্রসিংয়ের সামনে দুটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রাইভেট কার ছিটকে পাশের ট্রাফিক বিটে ধাক্কা খায়। বৃষ্টির কারণে সেখানে অপেক্ষা করছিলেন সোহাগ ও ফারহানা ইসলাম তানিয়া নামের দুই বাংলাদেশি। একটি প্রাইভেট তাঁদের পিষ্ট করলে দুজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সোহাগ ঢাকায় বসবাস করতেন। চাকরির কারণে তিনি ঝিনাইদহে খুব কম আসতেন। এদিকে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শেক্সপিয়ার থানার পুলিশ। কলকাতায় দুজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশের কলকাতার উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে লাশ দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দুর্ঘটনায় নিহত অপর নারী ঢাকার লালমাটিয়া এলাকার জাকির হোসেন সড়কের মো. আমিরুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা ইসলাম তানিয়া।