নিউজ ডেস্ক:
সিকিমের কাছে ডোকলাম নিয়ে চীন-ভারত সংঘাত চরমে। এই পরিস্থিতিতে সত্যিই যদি যুদ্ধ বাধে সেক্ষেত্রে গোলাবারুদ সমস্যায় পড়তে পারে ভারতীয় সেনা। বর্তমানে ভারতীয় সেনার হাতে মাত্র ১০ দিন যুদ্ধ করার মতো গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে। কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) এর প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য বের হয়ে এসেছে। যা ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
শুক্রবার সংসদে ক্যাগ’র রিপোর্টটি পেশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়- ‘ভারতীয় সেনা গোলাবারুদ সঙ্কটে ভুগছে, যেটা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। ২০১৩ সালের মার্চ তুলনায় বর্তমানে দেশটির অস্ত্র উৎপদানকারী সংস্থা অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (ওএফবি)-এর পারফরম্যান্সে ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। গত চার বছরে সেনার জন্য গোলাবারুদ সরবারাহে কিংবা অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনও উন্নতি হয়নি। ‘
রিপোর্টে বলা হয়েছে- ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোলাবারুদ সরবরাহের ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। সেনাবাহিনীর হাতে মজুদ গোলাবারুদের মধ্যে ৪০ শতাংশই কর্মক্ষমতার জন্য প্রস্তুত নয়। অর্থাৎ সেনাবাহিনীর কাছে মজুদ ১৫২ ধরনের গোলাবারুদের মধ্যে ৬১ ধরনের গোলাবারুদ সঙ্কটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেনার কাছে মজুদ গোলাবারুদের মাত্র ২০ শতাংশ (৩১ ধরনের) সন্তোষজনক। সেনার কাছে বর্তমানে যে গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদ রয়েছে তা দিয়ে মাত্র ১০ দিন যুদ্ধ চলতে পারে।
সংসদে পেশ করা রিপোর্টে ক্যাগ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার হাতে কমপক্ষে ৪০ দিনের গোলাবারুদ মজুদ থাকা উচিত। তার পরিবর্তে সেনা তা কমিয়ে ২০ দিনের রির্জাভ রাখার চেষ্টা করেছে। তারপরেও বর্তমানে মাত্র দশ দিনের গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে।
ক্যাগ আরও জানিয়েছে, সেনার হাতে মজুদ থাকা ১৫২ ধরনের গোলাবারুদের মধ্যে ৩১ ধরনের গোলাবারুদ ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ চালানোর পক্ষে যথেষ্ট, ১২ ধরনের গোলাবারুদ ৩০ দিনের জন্য এবং ২৬ ধরনের গোলাবারুদ ২০ দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য তৈরি রয়েছে।
গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল সেনার জন্য আপাতত গোলাবারুদ কেনার ক্ষেত্রে কোনও লাল ফিতার বাঁধন চলবে না। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্ট বলছে- গত তিন বছরে গোলাবারুদ কেনার ক্ষেত্রে কোনও উন্নতি হয়নি। এমনকি বর্তমানে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন গোলাবারুদের মজুদ খুবই কম। এই অবস্থায় চীন কিংবা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামাটা ভারতের পক্ষে যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।