নিউজ ডেস্ক:
সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনীর অস্ত্র ভাণ্ডারের আধুনিকীকরণ করতে শুরু করেছে ভারত। এজন্য মোটা অঙ্কের অর্থও খরচ করছে ভারত সরকার।সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবার ভারতের বিমান বাহিনীতে যুক্ত হল পাঁচটি ভয়ঙ্কর রাফাল যুদ্ধবিমান। বুধবার এই পাঁচটি সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান ভারতের মাটি স্পর্শ করেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, এদিন দুপুর ৩টায় হরিয়ানা রাজ্যের আম্বালায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে বিমানগুলো। ভারতীয় পাইলটরাই যুদ্ধবিমানগুলোকে উড়িয়ে আনেন। আম্বালা ঘাঁটিতে তাদের স্বাগত জানান বায়ুসেনাপ্রধান এয়ার মার্শাল রাকেশ কুমার সিংহ ভাদৌরিয়া।এর আগে সোমবার ফ্রান্স থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানগুলো। এদিকে আম্বালায় রাফালের অবতরণের একটি ভিডিও নিজের টুইটারে পোস্ট করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পোস্টে সংস্কৃত শ্লোক লিখে রাফালকে ভারতে স্বাগত জানান তিনি।রাফাল পৌঁছানোর পরপরই ফ্রান্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘নিরাপদে আম্বালায় অবতরণ করেছে রাফালগুলো। এজন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীকে অভিনন্দন। রাফাল যুদ্ধবিমান মাটি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের সামরিক ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা হল। একেবারে ঠিক সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধক্ষমতা বৃদ্ধি পেল।’ভারতীয় বিমানবাহিনী সেনা সূত্রের খবর, রাফালে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর জন্য ফ্রান্স থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ভারতের ১২ জন পাইলটকে। এয়ারবাস ৩৩০ মাল্টিরোল ট্যাঙ্কার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট উড়িয়ে কীভাবে মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরতে হবে সেই প্রশিক্ষণও নিয়েছেন পাইলটরা।সামরিক পরিভাষায় রাফালকে বলে মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট। অনেক উঁচু থেকে হামলা চালানো, যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা, মিসাইল নিক্ষেপ এমনকি পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতাও রয়েছে রাফালের।একে আরও শক্তিশালী করতে ‘মেটিওর’ এবং ‘স্কাল্প’ নামে দুটি মিসাইলও যোগ করা হতে পারে। পাশাপাশি এটিকে আরও শক্তিশালী করতে আনা হচ্ছে হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্রও। হরিয়ানার আম্বালা বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে ‘গোল্ডেন অ্যারো’ ১৭ নম্বর স্কোয়ার্ডনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এ যুদ্ধবিমানগুলো।