শার্শা প্রতিনিধি:--কোরাবানির ঈদ উপলক্ষে ভারতীয় গরুর চাপে দেশীয় গরু খামারিরা পথে বসতে বসেছে। শার্শা বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় ছোট বড় বড় প্রায় ১৪ থেকে ১৫ শত গরুর খামার রয়েছে। এছাড়া ও রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার গ্রামাঞ্চলে দেশীয় গরুর খামার।
সারাবছর দেশের গরু খামার ব্যবসায়িরা সারা বছর পর বাজার ধরার আশায় খেয়ে না খেয়ে সন্তানের মত লালন পালন করে থাকে গরুকে। তারা গরুর খাদ্য সহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন শীত গরম বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সহ রাতের ঘুম হারাম করে গরুর সেবা প্রদান করে থাকে।
সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে বেশী মুনাফা লাভের আশায় সীমান্ত দিয়ে ব্যবসায়িরা ভারত থেকে গরু আনছে। ভারত ও গরুর টাকা ভাল পাওয়ায় এসময় বাংলাদেশে গরু পাঠাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এদেশের গরুর খামারিরা।এখন থেকে লোকসানের চিন্তায় খামারীরা।
বেনাপোল সীমান্ত এলাকার ঘিবা গ্রামের ছাকিলা বেগম জানায় সারা বছর গরু লালন পালন করে থাকি কোরবানির সময় কিছু টাকা পাওযার আশায় সারা বছর সন্তান পালনের চেয়ে ও বেশী পরিশ্রম করে গরুর সেবা করে থাকে। এ বছর সে ১৫ টি বড় জাতের গরু পালন করেছে বলে জানায়। গোয়াল ঘরে ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হয় ।
বেনাপোল সীমান্ত এলাকার বড় বড় খামার পুটখালী গ্রাম। এখানে ছোট বড় অনেক খামার রয়েছে। খামার ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছে। তারা জানায় সারা বছর পর ভারত কোরবানির সময় দেদারছে সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ করায় আমাদের ব্যবসা ধ্বংস করছে। আমরা গরুকে একজন সন্তান যে ভাবে লালন পালন করে বড় করে তার চেয়ে বেশী পরিশ্রম করে লালন পালন করে থাকি।
এখন ঈদের সময় আমাদের গরুর দাম নির্ঘাত বাজারে পড়ে যাবে যে ভাবে ভারত থেকে গরু প্রবেশ করছে।
আমরা সারাবছর ধার দেনা করে গরু যতœ সহকারে পালন করি বছর শেষে কিছু পয়সা পাওয়ার জন্য। আমরা এ থেকে সংসারের যাবতীয় খরচ ছেলেমেয়ের লেখা পড়া অসুখ বিসুখের খরচ করে থাকি।
বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় এর যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায় পুটখালি, গোগা, রঘুনাথপুর ঘিবা ধান্যখোলা সীমান্ত দিয়ে কমবেশী গরু ভারত থেকে আসছে। অথচ কিছুদিন আগে গরু আসা ছিল শুন্যের কোটায়।