নিউজ ডেস্ক:
বৃটেনে অভিবাসী থাকা অবস্থায় অপরাধ করলে বা চার বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে অপরাধীকে ভিসা বাতিল করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিধান চালু করেছিল হোম অফিস। হোম অফিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল সুবিধাও ব্রিটেন থেকে বাতিল করা হয়েছিল। ‘ডিপোর্ট ফার্স্ট আপিল লেইটার’ নামের এই আইনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রোলিং দিয়েছে। এক অভিবাসীর করা মামলায় ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, এই নিয়মটি বেআইনি। এর মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।
২০১৪ সালের একটি ইমিগ্রেশন এক্টের মাধ্যমে ‘ডিপোর্ট ফার্স্ট আপিল লেইটার’ নিয়ম চালু করে হোম অফিস। এই নিয়ম চালুর পর বিভিন্ন অপরাধে প্রায় ১২শ অভিবাসীর ভিসা বাতিল করে স্ব স্ব দেশে পাঠিয়ে দেয় হোম অফিস। এর মধ্যে নিজ দেশ থেকে আপিল করে ব্যর্থ হন ৭২ জন। কিন্তু ড্রাগ অফেন্সে সাজাপ্রাপ্ত কেনিয়ান নাগরিক কেবিন কেয়ারী এবং জ্যামাইকান নাগরিক কুটনী বিন্দালোস এই নিয়মের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
কোর্ট অব আপিলে মামলাটি ব্যর্থ হলে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। গত জুন মাসে এই মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, অপরাধের সাজা হোক কিন্তু তাদের দেশে ফেরত পাঠানো উচিত ছিল না।
বিচারক লর্ড উইলসন তার রায়ে হোম অফিসের সমালোচনা করেন এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার উপর তাগিদ দেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ইমিগ্রেশন আইনীজীবী নাসির উদ্দিন। তার মতে এখন আর হোম অফিস ঢালাওভাবে মানুষকে ডিপোর্টেশন করতে পারবেনা।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সরকারকে এই আইনের কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে- বলে মনে করেন সলিসিটর নাসির উদ্দিন।