নিউজ ডেস্ক:
আগামী অর্থ-বছরের বাজেটে ব্যাংক আমানতের ওপর প্রস্তাবিত আবগারি শুল্ক হারে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
গতকাল রবিবার সচিবালয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার বাজেটে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা এসেছে আবগারি শুল্ক নিয়ে। আমি তো আগেই বলেছি, বাজেট তো হলো প্রস্তাব। যখন এটা পাস হয়, তখন অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়। এই বিষয়েও পরিবর্তন হবে। বাজেট তো পাস হবে ঈদের পরে, তাই এখনই বলে দিচ্ছি যাতে সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আবগারি শুল্ক বহু বছর ধরেই আছে সবাই দিয়েও যাচ্ছেন। এবারের বাজেটে হারটা একটু বেড়েছে। তবে সুযোগও বেড়েছে। ২০ হাজার টাকা থাকলেই আগে কর দিতে হতো, এখন আমরা সেটা এক লাখ টাকা পর্যন্ত উন্নতি করে দিয়েছি। এক লাখ পর্যন্ত জিরো।
আবগারি শুল্কের নাম পরিবর্তনের আগ্রহ প্রকাশ করে মুহিত বলেন, এর নাম আবগারি শুল্ক কোনোমতেই হওয়া উচিত না। নামটা পাল্টানো দরকার। এটা ইজ পার্ট অব দ্যা ইনকাম ট্যাক্স। যাই হোক, কিভাবে বর্ণনা করা যায়, সেটা চিন্তা করা যাবে।
টাকা পাচার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের বিষয়ে মুহিত বলেন, পাচার তো হয় কালো টাকা আছে বলে। কালো টাকার সুযোগ যাতে বন্ধ হয়, সেজন্য আমরা অভিযান শুরু করব।
জমি নিবন্ধন কালো টাকা উৎপাদনের একটি বড় উৎস এমন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে দামে জমি বিক্রি হয় প্রকৃত মূল্যের সঙ্গে তার দশ গুণ পার্থক্য। সুতরাং নয় গুণ কালো টাকা হয়ে যায়। এই ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।