ইমাম বিমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি : বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৪দিন থেমে থেমে বর্ষন, গর্জন সেই সাথে কাল বৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যয় ঝালকাঠির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বেহাল অবস্থা। ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, নলছিটি, কাঠালিয়া উপজেলা সহ সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর, বিনয়কাঠি, নবগ্রাম, বাসন্ডা, নথুল্লাবাদ সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪দিন পূর্বে থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে কাল বৈশাখী ঝড় এখন ২০০৭ সালের ঘূর্নিঝড়কে যেন হার মানিয়েছে। ঝড়ে কোথাও কোন মানুষের প্রান হানীর ঘটনা না ঘটলেও দেশের কয়েকস্থানে বজ্রপাতে মানুষ নিহত সহ বজ্রপাতের কারনে দোকান ঘরে অাগুনের সূত্রপাত ঘটে। শুধু অাগুন নয় থেমে থেম ঝড়ো হাওয়া ও অবিরাম বর্ষনের কারনে অনেক স্থানে বড় বড় গাছ পড়ে ইলেকট্রিক লাইনের খুটি ও তার ছিড়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুত সমিতির লাইনম্যানদের প্রচেষ্টায় অনেক স্থানে সকালে সংযোগ স্থাপন করা হলেও দুপর অথবা বিকেলে ঝড়ে অাবারো বৈদ্যুতিক তার, মিটার সংযোগের তার ছিড়ে যাওয়ার কারনে লাইনম্যানদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। এভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারনে এবার কৃষির অবস্থা বিপর্যস্ত প্রায়। অনেক স্থানে ধান পাঁকা শুরু হলেও অতিবৃষ্টির কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাঠে জমেছে হাটু সমান পানি নষ্টে হচ্ছে ধান, মুগডাল,রবিশষ্য সহ পেঁপে বাগান । এ বছর অামের মুকুল মোটামুটি দেখা গেলেও বৈশাখের শীলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে অাম,কাঠাল, জামরুল, বরিশালের বিখ্যাত ফল অামড়া সহ অনেক ফল গাছ সহ ফল নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ বিহীন পল্ট্রি খামারীদের মুরগীর বাচ্চা সহ মুরগী মরে যাচ্ছে যার জন্য পল্ট্রি খামারীদের মধ্যে দিশেহারা অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবের মত যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে মোবাইল ফোন চার্জেও চলছে বিকল্প ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্থানে জেনারেটরের মাধ্যমে বিশ টাকার বিনিময় চলছে মোবাইল ফোনে চার্জ।