চুয়াডাঙ্গায় দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃর্ষ্টিতে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
রাহুল রাজ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:পৌষের শুরুতে চুয়াডাঙ্গায় চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর তাই প্রচ- শীতে এমনিতেই কাবু এ অঞ্চলের মানুষ। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার ভোর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। আর এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন অটোরিকশা চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার ও নতুন বাজার এলাকায় কোদাল আর ডালি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিছু শ্রমজীবী মানুষ। তারা জানান, প্রতিদিন এখানে এসে দাঁড়ান তারা। শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য তাদের নিয়ে যান। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যেই তারা কাজে লেগে পড়েন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এ দিন সকাল ১০টা গড়িয়ে গেলেও কেউ তাদের নিতে আসেনি। কোর্ট মোড় এলাকার রিকশাচালক জিয়ারত আলী জানান, খুব সকালে তিনি যখন রিকশা নিয়ে বের হন, তখন ফোটা ফোটা পানি পড়ছিল। তিনি ভেবেছিলেন, শিশির পড়ছে। তাই বৃষ্টির কোনও প্রস্তুতি নেননি। খানিক বাদেই যখন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে, তখন তিনি বুঝতে পারেন এ গা হিম করা পৌষের বৃষ্টি! এখন পেটের দায়ে বৃষ্টিতে ভিজেই রিকশা চালাতে হচ্ছে তাকে। ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল এলাকায় অটোরিকশা নিয়ে বসে আছেন কয়েকজন। এরমধ্যে মমিনুল ইসলাম নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, এমনিতে চুয়াডাঙ্গা শহরে অটোর সংখ্যা বেশি। এরমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। মালিককে দৈনিক অটোর ভাড়া ৫০০ টাকা দেওয়া কঠিন হবে। এদিকে, ভারতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ফেতার প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে তিনি একথা বলেন। তিনি জানান, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। এরপর মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আঘাত আনার কোনো আশঙ্কা নাই। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আমরা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছি। এছাড়া ছোট ছোট মাছ ধরার টলার, নৌকাগুলোকে সমুদ্রে যেতে বারণ করেছি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৮ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত আঁকাশ মেঘলা থাকবে, মাঝে মাঝে কোথাও হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।