নিউজ ডেস্ক:
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের ১০ শতাংশ চাঁদা গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার সারাদেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
ওই দিন দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলাসহ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
গত শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকরা একই কারিকুলামের অধীন সিলেবাস ও সময়সূচিতে পাঠদান, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘বার্ষিক ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়াসহ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ’এর দাবি নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে এবং সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল দাবিসমূহ পূরণের জন্য ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মারপ্যাঁচে ফেলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সুবিধাভোগী ও তথাকথিত শিক্ষক সংগঠনের কোনো কোনো নেতার প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত চার শতাংশ কর্তন করার জন্য পৃথক দুটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত গেজেটে অতিরিক্ত চার শতাংশ প্রদান করে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত কী সুবিধা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত উল্লেখ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সমিতির নেতারা। এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে সারাদেশের অবিরাম ধর্মঘট ও আমরণ অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া, আলী আসগর হাওলাদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. কাওছার আলী শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. ছিদ্দিকুর রহমান শামীম, প্রকাশনা সম্পাদক মণি হালদার, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক বেগম নুরুন্নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হেনা রাণী রায়, দপ্তর সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম প্রমুখ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।