এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১ নাবালকের জমি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে ভুমিদস্যুরা, প্রতিহত করতে প্রস্তুত এলাকাবাসী, সহিংসতার আশংকা করছে গ্রামবাসীরা।
বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের ভোগডোমা গ্রামের মৃত আঃ সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেওয়ার লিখিত অভিযোগে ও সরজমিনে জানা গেছে, ভোগডোমা গ্রামের মৃত কছর শেখের পুত্র জহির উদ্দিন আঃ সাত্তারের জন্মের পর পরেই প্রায় ২৮/৩০ বছর পূর্বে মারা গেলে সাত্তারের চাচা সাহাদত আলী সাধু সাত্তারের মা (বড় ভাবি) সফুরা বেগমকে বিয়ে করে পালক পিতা হয়ে আঃ সাত্তার ও তার মায়ের দায়িত্ব নেয়। সে সময় সাধুর দখলিয় ভোগডোমা মৌজার ১৮১৬ দাগের ১নং খাস খতিয়ানের ৬০ শতক জমি সফুরা বেগমকে সাধু ভোগদখল করে খেতে দেয়। কিছুদিন পরে সাধু তার বড় স্ত্রীকে নিয়ে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করে। ২০০২ সালে সফুরা বেগম মৃত্যু বরন করলে ভোগদখলীয় উক্ত জমির ১পার্শে তার কবর দেওয়া হয় এবং আঃ সাত্তার জমিটি ভোগদখল করে খায়। প্রায় ৪/৫মাস পূর্বে আঃ সাত্তার মারা গেলে তাকেও মায়ের পাশে ভোগদখলীয় জমিতে দাফন সম্পর্ন করা হয়।
আঃ সাত্তারের মৃত্যুর পর তার নাবালক পুত্র ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র সোহাগ মায়ের পাশে থেকে জমিটির আবাদ করে ভোগদখল করা কালে আঃ সাত্তারের মৃত্যুর সুযোগে মৃত ক্ষদু শেখের পুত্র চাচাতো ভাই ভুমি দস্যু মকবুল হোসেন মঘল, মাবু হোসেন, আকবর আলী, বাবুল হোসেন সাধুকে টাকার লোভ দেখিয়ে জমিটি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত জমিটিকে কেন্দ্র করে নাবালক পুত্র সোহাগকে নিয়ে তার মা হামিদা বেওয়া চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই বিকালে সরোজমিনে গেলে গ্রামবাসী জানায়, ভুমি দস্যুরা নাবালকের জমিটি দখলের চেষ্টা করলে তারা ১হয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।
এসময় আঃ সাত্তারের অপর চাচাতো ভাই নেক্তার হোসেন জানায়, জামিগুলী খাস খতিয়ান ভুক্ত হওয়ায় কোন কাগজ ছাড়াই ভোগদখলীয় ভাবে সকলে চাষাবাদ ও গাছপালা লাগিয়ে বসবাস করে আসছে। সুযোগ সন্ধানী ভুমিদস্যুরা নাবালক সোহাগের জমিটির দিকে নজর দেওয়ার প্রতিবাদ করায় ভুমি দস্যুরা তাদেরকেও মার ডাং ও ঘরপুড়ার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভুগীরা ন্যায় বিচারের সার্থে বীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন আহম্মেদের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।