শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন। সেখানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ দলের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
এই বৈঠকে সমঝোতামূলক কোনো সিদ্ধান্ত এলে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অচলাবস্থা চলছে তা কাটতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গত ৪ জুন সকাল ১০টায় শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে বৈঠকটি স্থগিত করা হয়। যদিও এর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। পরে অবশ্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যেকোনো সময় বসা হবে।
সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যম’ স্কিম কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গত ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশের উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে। শিক্ষকদের দাবি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বসলেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসার কোনো ইঙ্গিত নেই। এতে শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরলেও ছাত্ররা না ফিরলে অচলাবস্থা পুরোপুরি কাটবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।