নিউজ ডেস্ক:
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিদেশী চ্যানেলগুলোতে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের ব্যাপারে ক্যাবল অপারেটরদের আবারও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ১ এপ্রিল থেকে কোন বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী কোন বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচার করা অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা সম্মেলন কক্ষে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র (বিজেসি) আয়োজিত ‘সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, কিছু বিদেশী চ্যানেল বাংলাদেশে জনপ্রিয় হওয়ায় এদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান সেই চ্যানেলগুলোতে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এতে দেশী টিভি চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আইনের প্রয়োগ হলে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো বছরে ৩শ‘ থেকে ৫ শ‘ কোটি টাকার ব্যবসা পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বাংলাদেশের মিডিয়া সেক্টরে একটি বড় ধরনের বিপ্লব ঘটেছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বেসরকারি টিভি লাইসেন্স দেয়া হয়। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৪৪ টি চ্যানেলের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩০টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে গিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এই শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও বিজ্ঞাপনের রেট কমে যাওয়াসহ কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। এখন এ অবস্থায় টিকে থাকতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সমস্যা চিহ্নিত করতে ক্যাবল অপারেটরগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন এবং তাদের বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে। সরকার এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তিন দফা নোটিশ জারি করেছে। আগামীকাল আরো একদফা নোটিশ দেয়া হবে। তারা যদি বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন প্রচার করা বন্ধ না করে, তবে ১ এপ্রিল থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে ডিবিসি টিভি’র চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, নিউজ ২৪এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আকবর খায়ের মিঠু এবং এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কের সিইও নুরুল আলম অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। গাজী টিভির প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব শাকিল আহমেদ।