নিউজ ডেস্ক:
সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অন্যতম সমস্যা খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণের কারণেই ব্যাংকগুলোর অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেছেন। তবে খেলাপি ঋণ থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিডিবিএলের অর্জিত মুনাফা থেকে সরকারকে ক্যাশ ডিভিডেন্ট বাবদ ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের হাতে বিডিবিএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন আলী এ চেক হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, বিডিবিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনজুর আহমদ, পরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমদ, সালমা নাসরীন এনডিসি, মো. এখলাছুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডিবিএল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণের ৪৯ শতাংশই খেলাপি ঋণ।
অনুষ্ঠানে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন আলী বলেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে ভালো করলেও বর্তমানে বিডিবিএলের বড় সমস্যা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। তবে বর্তমানের পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনা এবং ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও মেধার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাংকটির অন্যান্য কার্যক্রম খুব ভালো হলেও খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। তবে খেলাপি ঋণের সমস্যা থাকলেও শেয়ার বাজারসহ অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করে ব্যাংকটি লাভ করেছে। গত ২০১৬ সালে ব্যাংকটি মোট ৬৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে মূলত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ে। আর বিডিবিএল মূলত টার্ম লোন দিয়ে থাকে। তাই এ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি। তবে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও মেধা দিয়ে খেলাপি ঋণের সমস্যার সমাধান হবে।
ব্যাংকটির ব্যবস্থা পরিচালক মনজুর আহমদ বলেন, ২০১২ ও ২০১৩ সালের হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকটির লেনদেন ছিল তাই তখন বেশকিছু ঋণ আদায় করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, খেলাপি ঋণ বড় সমস্যা বলে থেমে থাকলে চলবে না। কেন ঋণ খেলাপি হয় সে বিষয়ে আরো বেশি বেশি পর্যালোচনা করতে হবে। এ বিষয়ে আরো গভীরভাবে কাজ করতে হবে। খেলাপি ঋণ কীভাবে আদায় করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। ঋণ দেওয়ার পর তা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা সেটিও সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে।