চুয়াডাঙ্গায় মন্ত্রী পরিষদের সাবেক যুগ্ম সচিব ড. আব্দুস সবুরের
নিউজ ডেস্ক:মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সাবেক যুগ্ম সচিব ড. আব্দুস সবুরের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা রেজিষ্টার অফিস সংলগ্ন তাঁর স্ত্রীর ‘স্বপ্নাঙ্গন’ বাসভবনে এ হামলা চালানো হয়। তবে কে বা কারা, কী উদ্দেশ্য এ হামলা করেছে এ ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে রাতেই সদর থানায় হাজির হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন ড. আব্দুস সবুর।
ড. আব্দুস সবুরের এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমানারা শিউলী রহমানের ‘স্বপ্নাঙ্গন’ বাসভবনে প্রবেশ করে। এরপর নিচতলায় থাকা ভাড়াটিয়াদের দরজায় লাথি মারে এবং টেবিল ফ্যান ভাংচুর করে। দুর্বৃত্তরা ভবনের ২য় তলায় একটি ঘরের দরজা ভাংচুর করে ভেতরে প্রবেশ করে ও তাঁর স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে খোজাখুজি করতে থাকে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বলে- তাকে অপহরণ পূর্বক চোখ ও পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে। একপর্যায়ে তারা তাকে খুজে না পেয়ে রাগান্বিত হয়ে বাড়িটি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দিয়ে যায়।
এজাহারের বর্ণনা মতে, এ হামলার পরিকল্পনার মূলে রয়েছেন ড. এ আর মালিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মালিক (এ.আর মালিক)। এ ঘটনার আগে (১ জুন) ড. আব্দুস সবুরের স্ত্রীর মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাঁর সম্পর্কে অশ্লীল কথাবার্তা বলে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেয়। এ ছাড়াও তাঁর ভগ্নিপতি আব্দুল কাদেরকে ফোন করে তাকে চুয়াডাঙ্গাতে প্রবেশ করতে নেওয়া হবে না এবং তাঁর পিঠের চামড়া ও চোখ তুলে নেওয়া বলে পূর্বে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়।
ড. আব্দুস সবুর বলেন, ‘আমার গভীর সন্দেহ রয়েছে আতিকুর রহমান মালিক তাঁর ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এটি কোন রাজনৈতিক হামলা নয়। ড. আব্দুস সবুরের অভিযোগ থেকে বোঝা যায়, তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত, জমিজমা সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক লেনদেন সম্পর্কিত পূর্বশক্রতার জের ধরে গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’