নিউজ ডেস্ক:
বার্সার জয়রথ থামাল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। লা লিগায় টানা সাত ম্যাচ জয়ের পর পয়েন্ট ভাগাভাগি করলো বার্সেলোনা।
তবে এ ম্যাচে বড় বাঁচা বাঁচল কাতালানরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র ৮ মিনিট বাকি ছিল তখন সমতাসূচক গোলটি করেন লুইস সুয়ারেজ। না হলে অঘটন ঘটতো। শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানেই খেলার নিষ্পত্তি ঘটে।
ইকুয়েডরের মাঠে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ঐতিহাসিক হ্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে তোলার পর এটি ছিল ক্লাব ফুটবলে লিওনেল মেসির প্রথম ম্যাচ। প্রথম মিনিটেই গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন বার্সার প্রাণভোমরা। গোলপোস্টের পাশ দিয়ে বল চলে যায়। শেষ পর্যন্ত গোলবঞ্চিত থাকেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
ঘরের মাঠে আক্ষেপে পুড়ে দিয়ে সিমিওনের শিষ্যরা।
বার্সার বিপক্ষে দীর্ঘ জয়খরা কাটানোর কাছাকাছি এসেও হতাশায় ডোবে স্বাগতিকরা। কাতালানদের সামনে এ নিয়ে টানা ১৫টি লিগ ম্যাচে জয়হীন অ্যাতলেতিকো।
মাদ্রিদের ক্লাবটির বিপক্ষে বার্সার অপরাজেয় ধারাটা অব্যাহত থাকলো। কিন্তু জয় না পাওয়ায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের পার্থক্য কমে দাঁড়িয়েছে ৫-এ। ৮ ম্যাচ শেষে যথাক্রমে ২২, ১৭। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছে অ্যাতলেতিকো।
লা লিগায় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে বার্সার বিপক্ষে আর জয় পায়নি অ্যাতলেতিকো। সিমিওন কোচ পদে নিযুক্ত হওয়ারও প্রায় দু’বছর আগে থেকে। ভিসেন্তে কালদেরনে অপেক্ষার সমাপ্তি টানার পথেই ছিল স্বাগতিক শিবির।
প্রথমার্ধের ২১ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে উদীয়মান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সাউল নিগুয়েজের ডান পায়ের দূরপাল্লার শটে পরাস্ত হন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন। নির্ধারিত সময়ের আট মিনিট আগে (৮২) অ্যাতলেতিকোর স্বপ্নে জল ঢেলে দেন সুয়ারেজ।
ডান প্রান্ত থেকে সার্জি রবার্তোর ক্রস নিখুঁত হেডে জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি উরুগুইয়ান তারকা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা মেসি এ ম্যাচে গোল পাননি। লিগে আগের সাত ম্যাচে ১১ বার লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন আইকন।