নিউজ ডেস্ক:
দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নানা ভুলের কারণেও আমরা অসুস্থ হয়ে পরি। তাই আজকের দিনে সুস্থ থাকাটা সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জের। তবে সেই চ্যালেঞ্জটাকে এবার সহজ করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, সুস্থতায় বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু প্রতিদিন নিয়ম করে লবণ ছাড়া বাদাম খাওয়া শুরু করুন। সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। তাহলেই দেখবেন কোন রোগই আপনাকে ছুঁতে পারবে না। একইসঙ্গে আপনিও থাকবেন একেবারেই ফিট। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বাদামের সঙ্গে সুস্থ থাকার কী সম্পর্ক তা তথ্য আকারে তুলে ধরেছেন-
তথ্য ১ ‘আই সি এম আর’ এবং ‘হু’ এর রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে। শুধু তাই নয়, আগামী ৫ বছরে এই সংখ্যাটা আরও বড়বে, এমনটাই ধরণা বিশেষজ্ঞদের। তাই তো এখন থেকেই প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন। কীভাবে করবেন এই কাজটা? এক্ষেত্রে বাদাম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আসলে বাদামে উপস্থিত পলিফেনোলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একাধিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। বিশেষত, গ্যাস্ট্রিক এবং কোলোন ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে বাদামের কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে।
তথ্য ২ হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে মনো এবং পলি-স্যাচুরেটেড ফ্য়াটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্ট একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
তথ্য ৩ বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি৩ এবং রেসভেরাট্রল। এই দুটি উপাদান মস্তিষ্কে রক্ত চলাচাল বাড়িয়ে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়, তেমনি অন্যদিকে স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে।
তথ্য ৪ মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেস কমাতে বাদামের কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এতে উপস্থিত টাইটোফন নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে নানাবিধ হরমোনের ক্ষরণকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ডিপ্রেশন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তথ্য ৫ গল স্টোনের আশঙ্কা কমাতেও বাদাম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে বাদাম খেলে গল স্টোনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পায়। তাই এই ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকতে আজ থেকেই বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
তথ্য ৬ আলঝেইমার রোগকে প্রতিরোধ করতেও কাজে লাগাতে পারেন বাদাম। যাদের পরিবারে এই রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের তো নিয়মিত বাদাম খাওয়া জরুরি। আসলে এতে উপস্থিত নিয়াসিন নামে একটি উপাদান আলঝেইমার রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভুমিকা নেয় বলে একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
তথ্য ৭ গর্ভবতী নারীদের জন্য এই খাবারটি দারুন উপকারী। এতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড ভাবি মায়েদের শরীরের একাধিক সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তথ্য ৮ বাদামে উপস্থিত ভাটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে চনমনে এবং সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই তো শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।