নিউজ ডেস্ক:
বাতিল ৫০০ টাকার নোট দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির দাবি করল ভারতের ওড়িশার এক ছাত্র। তার দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতর থেকে ওড়িশার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৭ বছরের ওই ছাত্রের নাম লাসমান দুন্দি। ওড়িশার নুয়াপদা গ্রামের বাসিন্দা দুন্দি খারিয়ার কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে লাসমান। বাল্ব বিক্রি করে পড়াশোনার খরচ চালায় সে। মোদির নোট বাতিলের পর দুটো পুরনো ৫০০ টাকার নোট তার কাছে রয়ে গিয়েছিল। সেই নোটের উপরেই এই পরীক্ষা চালায় সে।
দু্ন্দির দাবি, ‘এর জন্য একটি ট্রান্সফরমার, একটা বাল্ব এবং বেশ কিছুটা তার লাগবে। পুরানো ৫০০ টাকার নোটের মধ্যে সিলিকন প্লেট ছিল। ওই প্লেটই বিদ্যুৎ তৈরিতে সাহায্য করে। প্রথমে ৫০০ টাকার নোটকে একটু ছিঁড়ে সিলিকন প্লেটটাকে উন্মুক্ত করতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের এক প্রান্ত ওই সিলিকন প্লেটে এবং অপর প্রান্ত ট্রান্সফরমারে লাগাতে হবে। ট্রান্সফরমারের সঙ্গে তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে বাল্ব। এইভাবে বেশ কিছুক্ষণ সুর্যালোকে রাখতে হবে নোটটিকে। দেখতে হবে নোটের সিলিকন প্লেটের উপরে যেন সূর্যের আলো পড়ে। সিলিকন প্লেট এবং ট্রান্সফরমারের সাহায্যে ওই আলোকশক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত হবে। জ্বলে উঠবে বাল্ব। ’
এইভাবে একটি ৫০০ টাকার নোট থেকে ৫ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে দাবি দুন্দির। এমনকী উৎপন্ন বিদ্যুৎ ধরে রাখা সম্ভব হলে তা ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজে লাগানো যেতে পারে। এইভাবে অনেকগুলি ৫০০ টাকার নোট থেকে এতটাই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে যে, তা থেকে টিভিও চালানো সম্ভবপর।
পুরনো ৫০০ টাকার নোট ছাড়া অন্যান্য নোট থেকেও একইভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায় কি না দুন্দি তা পরীক্ষা করে দেখছে। এর আগেও দুন্দি তার এই আবিস্কারের কথা কলেজের শিক্ষকদের জানিয়েছিল। তখন তার কথায় কেউ আমল দেয়নি। সম্প্রতি সে এই আবিস্কারের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং তার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখে। তারপরই তা খতিয়ে দেখতে তৎপর হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তার আবিস্কারে সিলমোহরের আশায় রয়েছে দুন্দি এবং তার গ্রাম নুয়াপদা।