নিউজ ডেস্ক:
জঙ্গীবাদ শুধু বাংলাদেশের সমস্য নয় জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এটি সারা বিশ্বের সমস্যা। সারাবিশ্ব যখন জঙ্গীদের আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। এবং এই নিয়ন্ত্রণ আমরা ধরে রাখতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
প্রধানমন্ত্রীর ডাকে দেশবাসী আজ জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসবাদকে উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে মানুষ সোচ্চার হয়েছে বলেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে জঙ্গী নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা সফলভাবে আপিইউ সম্মেলনও শেষ করেছি। এমনকি রাষ্ট্রপতির ডিানারেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকাররা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মিডিয়া সেন্টারে পুলিশের সাথে মতবিনিময় করার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঞা, জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মন্ত্রীর একান্ত সচিব ড.হারুন অর রশিদসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীদের গ্রুপ একটাই। এরা ষড়যন্ত্রকারী, এরা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, এরা ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়। সেক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকেও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তিনি বলেন, ময়মনসিংহে জঙ্গিদের উত্থান ঘটানোর জন্য একটা প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কোন জানমালের ক্ষতি না করেই অভিযান শেষ করেছে।
সিলেটের অভিযানে সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, আজ (মঙ্গলবার) র্যাব সেই বাড়ি থেকে বিস্ফোরক সরাচ্ছে এবং উদ্ধারের কাজ শেষ করছেন।
পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে জনগণের সহায়তা চেয়ে মন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে মোটর সাইকেলে একজনের বেশি আরোহী থাকতে পারবে না। বিকেল ৫টার পর বাইরের সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।
ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার সিসি ক্যামেরা নেটওয়ার্কের আওতায় আনায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের কার্যক্রমের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ১২৮টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুরো ময়মনসিংহে মোট ৪শ’ সিসি ক্যামেরা থাকবে। তিনি বলেন, ঢাকার আংশিক অংশ সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।
এর আগে মন্ত্রী ময়মনসিংহ এসে সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, মহানগর যুবলীগ আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।