বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এখন যতটা জোরালো আগে কখনোই সেটা ছিল না। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক উচ্চমাত্রার বিশ্বাস ও পারস্পরিক আস্থা উপভোগ করছে। দুই দেশের নেতাদের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
ফ্রান্সের জাতীয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ম্যারি মাসদুপুই বলেছেন, অনেক বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক মনে করেন সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিক কারণে ফ্রান্সের এ সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ। তারা তথাকথিত ‘এয়ারবাস চুক্তি’ ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিষয় উল্লেখ করতে চান। অবশ্যই, তারা ভুল এবং আমাদের প্রতিযোগীদের মাধ্যমে তারা পক্ষপাতদুষ্ট।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাসে আমাকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ফ্রান্স কেন বাংলাদেশের মতো একটি দেশের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাইবে। কারণ এরই মধ্যে এই অঞ্চলে শক্তিশালী কৌশলগত অংশীদার রয়েছে।
ম্যারি মাসদুপুই বলেন, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি তৃতীয় বিকল্প নিয়ে ফ্রান্সের যে রূপকল্প তা আমাদের অংশীদারদের সার্বভৌমত্ব ও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রতি সম্মানের ভিত্তিতে গড়া।
গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট যে চিঠি লিখেছেন তাতে বাংলাদেশের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন অর্জনে ফ্রান্সের সমর্থনের প্রতিফলন রয়েছে।