নিউজ ডেস্ক:
বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস স্কোয়াব মনে করেন বাংলাদেশকে যথাযথভাবে ব্রান্ডিং করার সময় এসেছে। বিগত এক দশক ধরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকায় বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে ডব্লিউইএফ’র সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাঁচদিন বিরতির পর গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের চর্তুদশ ও শীতকালীন অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে নুরুল ইসলাম মিলনের (কুমিল্লা-৮) প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এসব তথ্য দেন। এর আগে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নীতি নির্ধারণী এ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে উচ্চতর সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ডব্লিউইএফ ফোরামে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিবেচনায় সুদূরপ্রসারী সুফল বয়ে আনবে। সম্মেলনে আমাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সার্বিক বিবেচনায় এ সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি। এর ফলে বিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে আরও একবার তুলে ধরার সুযোগ হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৬০টি দেশের রাষ্ট্র/সরকার প্রধানসহ জাতিসংঘের নবনিযুক্ত মহাসচিব ও বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থা প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।