নিউজ ডেস্ক:
বরগুনার বামনা উপজেলায় পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) চড় মারার ঘটনায় বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে
এএসআইকে চড় মারার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে তাকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার আদেশ দেয়া হয়।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, এএসআইকে চড় মারার ঘটনা তদন্ত করে আমরা সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনে বামনা থানার ওসি ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে প্রত্যাহারসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করি। বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের এক চিঠির মাধ্যমে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তাকে হত্যার পর তার গাড়িতে থাকা তথ্যচিত্র নির্মাণের সহযোগী ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং পরে শিপ্রা রানী দেবনাথকে আটক করে পুলিশ। পরে সিফাতের মুক্তি দাবিতে তার নিজ জেলা বরগুনার বামনা উপজেলায় শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বরগুনার বামনা উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় সিফাতের সহপাঠীরা মানববন্ধন শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে ওই মানববন্ধনে মাইক কেড়ে নিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে বামনা থানা পুলিশ। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করতে দেরি হওয়ায় এএসআই নজরুলকে প্রকাশ্যে চড় মারেন ওসি ইলিয়াস আলী তালুকদার।