নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছের সাময়িক বরখাস্তের আদেশও স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বরখাস্তের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
আজ আদালতে বুলবুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল। জি কে গউছের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
মেয়র পদ থেকে দ্বিতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে আজ সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও জি কে গউছ।
গত ১ এপ্রিল মেয়র বুলবুলকে বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০ দলীয় জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে নাশকতার চার মামলায় পুলিশ বুলবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৫ সালের ৭ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন বুলবুল। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছর ২৮মে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ অবৈধ বলে রায় দেন।
প্রথমবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর গত সোমবার উচ্চ আদালতের নির্দেশে আরিফুল নগর ভবনে যান। মেয়রের চেয়ারে বসতে না বসতেই তিনি ফের সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন।
গত ২ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো বরখাস্ত হন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ। সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় গত বছরের মার্চে তাকে প্রথমবার বরখাস্ত করা হয়। দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার ১১ দিনের মাথায় জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।