নিউজ ডেস্ক:
ফ্লিপকার্ট, আমাজন-এর মতো ই-কমার্স সাইট যখন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তাদের ব্যবসা ও মুনাফার কথা ঘোষণা করছে, তখন প্রায় নিঃশব্দে নারীরা৮-৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে ফেলেছেন। ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবহার করে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন গৃহবধূরা।
উদারহরণস্বরূপ, ভারতের হায়দরাবাদের পূজা সিং বিয়ের পর ঝাড়খণ্ডে নতুন সংসার পেতেছেন। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে হায়দরাবাদে তাঁর একটি ছোট পোশাকের দোকান নিয়ে। বিয়ের আগে অল্প পুঁজি জমিয়ে স্বাধীনভাবে পোশাকের ব্যবসা খুলেছিলেন পূজা। কিন্তু সেই দোকান তো আর ঝাড়খণ্ডে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। আর একটি নতুন দোকান না খুলে তাঁই পূজা সিদ্ধান্ত নিলেন, জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ মারফত তাঁর প্রডাক্ট বিক্রি করবেন। এক্ষেত্রে তিনি হবেন একজন রি-সেলার৷
অনলাইন রিটেল মার্কেটকে ব্যবহার করে এভাবেই পূজার মতো অনেক গৃহিণীই তাঁদের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবহার করে৷ ই-কমার্সে জোয়ারকে কাজে লাগিয়ে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন গৃহিণীরা৷
কনসালটেন্ট ফার্ম Zinnnov এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০ লক্ষেরও বেশি গৃহবধূ এখন বিভিন্ন লাইফস্টাইল প্রডাক্ট, পোশাক বিক্রি করছেন ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত৷ ফ্লিপকার্ট, আমাজন-এর মতো ই-কমার্স সাইট যখন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তাদের ব্যবসা ও মুনাফার কথা ঘোষণা করছে, তখন প্রায় নিঃশব্দে মহিলারা ৮-৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে ফেলেছেন৷ ২০২২-এর মধ্যে এই দুই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে গৃহবধূরা অন্তত ৪৮-৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে Zinnnov৷
সংস্থার একটি সমীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, অনলাইন রি-সেলাররা মূলত গৃহবধূ, তাঁদের মধ্যে কারও নিজস্ব ছোট ব্যবসা রয়েছে। কেউ কেউ আবার বেকার শিক্ষিত বেকার যুবক, যাঁরা সাধারণত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সাপ্লায়ারদের মজুত করা বিপুল স্টক থেকে অল্প অল্প করে পণ্য সংগ্রহ করে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেন তাঁরা। মোট অর্ডার ভ্যালুর উপর প্রতিক্ষেত্রেই ১৫-২০ শতাংশ লাভ রাখেন বিক্রেতারা।
পূজা সিং জানিয়েছেন, প্রতি মাসে অন্তত ৭০-৮০টি করে পোশাক তিনি বিক্রি করতেন। আর বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নারী রি-সেলারদের বাজার প্রতি বছর ৪০-৫০ শতাংশ হারে বাড়বে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন