নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমকে সামনে রেখে বেশ কিছু ক্লাবের আগ্রহের কথা জানা গেলেও ক্রোয়েশিয়ার হেড কোচ জ্লাটকো ডেলিচ এখন বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়েই বেশী চিন্তিত।
আগামীকাল রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের মোকাবেলা করবে ক্রোয়েশিয়া। এই প্রথমবারের মত ক্রোয়েটরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ৫১ বছর বয়সী ডেলিডচকে বাছাইপর্ব চলাকালীন আন্টে চেচিচের স্থলাভিষিক্ত করা হয়। বাছাইপর্বের সময়টা অবশ্য মোটেই ভাল কাটেনি ক্রোয়েশিয়ার। গ্রীসের সাথে প্লে-অফে জয়ী হয়ে রাশিয়ার নিশ্চিত করে ক্রোয়েটরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জায়ান্ট আল আইন ক্লাবের হয়ে ২০১৬ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলাই ছিল এ পর্যন্ত কোচিং ক্যারিয়ারে ডেলিচের সর্বোচ্চ সাফল্য। আর এখন ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়ে তিনি দেশের নায়কে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানোর সম্ভাব্যতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ডেলিচ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে এই বিষয়টি নিয়ে আমি মোটেই ভাবছি না। হয়তবা এ ব্যপারে ক্রোয়েশিয়ান মানুষের কাছে ভুল তথ্য এসেছে। বিশ্বের সেরা দল হবার লড়াইয়ের দ্বারপ্রান্তে এখন আমরা রয়েছি। সে কারনেই সেটা চেষ্টা করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বজুড়ে ইউরোপীয়ান লিগগুলোতে সবাই বড় বড় ক্লাব খুঁজে। কিন্তু আমি মনে করি এটাই একেবারেই ভুল। আমি একটি ছোট ক্লাব দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। আমি তাদের সরাসরি বলেছিলাম বড় দল বড় ভুল করে এবং এজন্য তাদের বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু আমি সবসময়ই বলেছি, আমাকে বার্সেলোনা কিংবা মাদ্রিদ দাও, আমি শিরোপা জিতবো। আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে লড়াই করে এখানে এসেছি। আমি ক্রোয়েশিয়ায় থাকতে চাইনা, সেকারনেই বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছি। আমি নীচের থেকে শুরু করেছিলাম, আর এক বছরের মধ্যে এশিয়ার সেরা কোচে পরিনত হয়েছি। আমি এশিয়ার সেরা ক্লাবের দায়িত্বে আছি। ক্রোয়েশিয়া যখন আমাকে ডেকেছে আমি কোন সংকোচ করিনি। আমি জানতাম নিজের বিশ্বাস থেকে আমি কি করতে পারবো। আর বিশ্বকাপে তার প্রমান আমরা পেয়েছি। আমি সত্যিই গর্বিত।