এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বন্যা কবলিত দূর্গম এলাকায় আমাদের ত্রাণ দিতে দেরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী মজুর রয়েছে। ত্রাণের ঘাটতি নেই। দিনাজপুরের বন্যা করলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টায় তিনি একথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আমাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমাদের ত্রাণ সমগ্রীর অভাব নেই। বন্যা পরিস্থিতি প্রলম্বিত হলেও ত্রাণ সমগ্রীর অভাব হবে না ইনশাআল্লাহ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। খাদ্যের কোনো সংকট হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। প্রয়োজনে বন্যার্তদের মানবিক সাহায্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা তার আগমে পর্যবেক্ষণে এসেছি। শুধু আমি না অনেকে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন রাজনীতির বেপরোয়া ড্রাইভার। যেকোনো সময় তারা একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। সবাই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন, সজাগ থাকবেন।
উজানের দেশ চীন, ভারত, নেপাল ও ভূটানে এ বছর স্মরণকালের মারাতœক বন্যা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উজানের দেশে বন্যা হলে ভাটির দেশ হিসেবে উজানের প্রভাব আমাদের উপর পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এর আলোকে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি এবং মানুষের জন্য সহনশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি।
৩টি কারণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন খারাপ বলে মন্তব্য তিনি। তিনি বলেন, ১ম কারণ, ষোড়শ সংশোধনী রায়ে নতুন একটি ইস্যু পেয়ে এখান থেকে ফায়দা পাওয়া যাবে- মওদুদ আহমদ এমন পরামর্শ দেওয়ার পর বিএনপিতে জগাই-মাথাই শুরু হয়ে যায়। কিন্তু আজকে সেই রঙিন খোয়াবের জমিন ক্রমেই মরুময় হয়ে যাচ্ছে।
২য় কারণ, গত ১৫ আগস্ট ভোরে আরেকটা ১৫ আগস্ট, আরেকটা ২১ শে আগস্টের মতো জঙ্গিবাদী হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপির মন খারাপ।
৩য় কারণ, জন্মদিবসের কেক কাটতে না পারা। বন্যার্তদের নাম নিয়ে মায়াকান্না দেখাচ্ছেন। আসলে জনগণের অবরুদ্ধতার মুখে কেক কাটতে না পেরে মন খারাপ। মন খারাপ করে বিএনপি এখন রাজনীতির বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো হয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, তারা একটা ইস্যু পেলেই লাফালাফি শুরু করে। ৮ বছরে ৮ মিনিট রাজপথে থাকতে পারেন নাই, লজ্জা করে না? গত ১৫ আগস্ট ভোরে আরেকটা ১৫ আগস্ট, আরেকটা একুশে আগস্টের মতো জঙ্গিবাদী হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপির মন খারাপ। ৫০০ লোক হত্যার পরিকল্পনা ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। জন্মদিবসের কেক, বন্যার্তদের নাম নিয়ে মায়াকান্না দেখাচ্ছেন। আসলে জনগণের অবরুদ্ধতার মুখে কেক কাটতে না পেরে মন খারাপ। জেলা প্রশাসকদের বলেছি, তাদের চাহিদামত প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে। একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায় সেজন্য জেলা প্রশাসকদের সার্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রঘুপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, আওয়ামীলীগের সাংগঠরিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধূরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি দিনাজপুর সদরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এছাড়াও বন্যায় বিধবস্ত রাস্তা-ঘাট পরিদর্শন করেছেন।