বিনোদন প্রতিবেদক:
‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ ধারাবাহিকের ঝুমুর চরিত্রটি কেমন উপভোগ করছেন?
প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর অভিনয় জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট থাকে। আমার টার্নিং পয়েন্ট হলো ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’। এই ধারাবাহিকের ‘ঝুমুর’ চরিত্রটির মাধ্যমে আমাকে সবাই চিনছে, জানছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে গেলে সবাই আমায় ঝুমুর নামে ডাকে। এমনকি আমার গ্রামের বাড়ি রংপুরেও ঝুমুর এখন আলোচিত নাম। এই ঝুমুরের কাছে আমার আসল নাম চাপা পড়ে যাচ্ছে!
কখনও কি ভেবেছিলেন চরিত্রটি এত জনপ্রিয় হবে?
এত সাড়া পাব আগে বুঝিনি। মজার বিষয় হলো, আমার পরিবারের কেউ অভিনয়ে নেই। তাই অভিনয় করব ভাবনায় ছিল না। এমনকি এই নাটকের পরিচালকও আমাকে নাটকে খুব বেশি পর্বে রাখার কথা চিন্তা করেননি। একদিন পরিচালক রাজ তার ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নাটকের চিত্রনাট্য পড়তে দিয়েছেন। আমার খুব ভালো লেগেছে জেনে তাৎক্ষণিক তিনি বললেন অভিনয় করতে। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। নাটকে অনেক আনন্দ নিয়ে কাজ করেছি। শুটিং সেটের আড্ডাবাজি থেকেও চিত্রনাট্য হয়েছে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেবেন?
ঝুমুর চরিত্রে অভিনয় না করলে হয়তো এতদিনে আমার অভিনয়ে ইতি চলে আসত। হয়তো চাকরি করতাম। কারণ আমার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই প্রকৌশলী। এ কারণেই প্রকৌশলী হওয়ার তাগিদ ছিল পরিবার থেকে। ফলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক করেছি। এখন নিয়মিতই অভিনয় করছি।
শুনেছি নতুন একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ, ইমরাউল রাফাতের পরিচালনায় একটি ওয়েব সিরেজে অভিনয়ের কথা পাকাপাকি হয়েছে। এর নাম এখনও ঠিক হয়নি। শিগগিরই সিরিজের শুটিংয়ে যাব। এখানে আমাকে দেখা যাবে একজন স্বাধীনচেতা মেয়ের চরিত্রে। সে সবকিছু মেইনটেইন করে।
নাটক তো করছেন। সিনেমায় অভিনয় নিয়ে কিছু ভাবছেন?
আমার জীবনের বড় যে কোনো সিদ্ধান্ত হুট করেই হয়। হয়তো সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণা হঠাৎ করেই আসবে বলে মনে হয়। সিনেমায় কাজের জন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত। যদি ভালো গল্প, গুণী নির্মাতা এবং অন্যান্য কিছু ব্যাটে-বলে মিলে যায়; তাহলে হয়তো শিগগিরই সিনেমায় অভিনয় করব।
এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেমন সময় দেন?
আমি ফেসবুক ব্যবহার কম করি। সব মিলিয়ে দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা হবে। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করি। যদিও আমার বন্ধুর সংখ্যা খুব বেশি না। ইনস্টাগ্রামে আমার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের খবর দিই।
এসব মাধ্যম থেকে প্রেমের প্রস্তাব পান?
প্রতিদিনই প্রেমের প্রস্তাব পাই [হাসি]। মাঝে কেউ কেউ বন্ধুত্বেরও প্রস্তাব দেয়। তবে সব প্রস্তাবই কৌশলে এড়িয়ে চলি।