ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা অফিসে ককটেল বিস্ফোরণের জের ধরে কোটাচাঁদপুর পৌর বিএনপি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার পর কোটচাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র সালাহ উদ্দীন বুলবুল সিডলকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণে যুবলীগের কর্মী মামুন ও আরিফ নামের দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে গোটা কোটচাঁদপুর শহর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে কোটাচাঁদপুর বাজারে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা অফিসে ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অফিসে বসে থাকা যুবলীগের কর্মী মামুন ও আরিফ আহত হন। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা এ ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দীন বুলবুল সিডলকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে থানায় নিয়ে যায়। আর এ ঘটনাটি এমন একসময় ঘটল, যখন কোটচাঁদপুরে ১৪ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
এ ব্যাপারে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাজুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে কে বা কারা মুক্তিযোদ্ধা অফিসে ককটেল মারে। এ ঘটনায় দুজন আহত হন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি গণসংযোগে বাইরে ছিলাম, শহরে এসে খবরটি শুনেছি।’ তিনি বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় যদি মামলা-মাকদ্দমা দিয়ে বিএনপির কর্মীদের নির্বাচনী মাঠ ছাড়া করা হয়, তবে আমি এ নির্বাচন বয়কট করব।’ তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত জেনেই প্রতিপক্ষরা শান্ত শহরকে তুচ্ছ ঘটনায় অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এটি একটি সাজানো নাটক বলেও তিনি দাবি করেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরিফুজ্জামান মিকি বলেন, ‘আমি বাইরে থেকে ফিরে এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে আসি।’ তিনি এ ঘটনার জন্য তাঁর প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মামুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, রাতে কে বা কারা কোটচাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা অফিসে ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে একজন আহত হন। এর পাশেই ছিল বিএনপির অফিস। সেখান থেকে জনতার রোষানল ও নিরাপত্তার স্বার্থেই সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপির নেতা সিডলকে পুলিশ সরিয়ে নেয়।