নিউজ ডেস্ক:
পেপারলেস ট্রেডে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়া ইউরোপ মিটিংয়ের (আসেম) সপ্তম ইকোনমিক মিনিস্টার্স মিটিং (ইএমএম) এর দ্বিতীয় প্ল্যানারি সেশনে স্ট্র্যাংদেনিং ইকোনমিক কানেকটিভিটির ওপর বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্ববাণিজ্যে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এ সময় দেশের রপ্তানি হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের রপ্তানি প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এজন্য বাংলাদেশ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তথ্য প্রযুক্তিসহ বেশকিছু খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আধুনিক ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে ই-কানেকটিভিটি স্থাপনে বাংলাদেশ সক্ষম। সম্প্রতি বাংলাদেশ দ্বিতীয় সাইবার ক্যাবলে যুক্ত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফোর-জি চালু হবে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণের জন্য সরকার দেশব্যাপী পাঁচ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। দেশের মানুষ এ সুবিধা ভোগ করছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১৩ কোটি ৩২ লাখ মানুষ মোবাইল ফোন, প্রায় ৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছে এবং এ খাত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হলে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে এশিয়া-ইউরোপের সদস্যদেশগুলো উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়বে এবং টেকসই উন্নয়ন ঘটবে।
কোরিয়ার ট্রেড, ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড এনার্জি বিষয়কমন্ত্রী উংউ পেইকের সভাপতিত্বে প্ল্যানারি সেশন-২ এ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিনিস্টার কা চুয়ান অং।
শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আব্দুল লতিফ বকসী এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, এশিয়া এবং ইউরোপের দেশ সমূহের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের লক্ষ্যে এ দু‘অঞ্চলের ২৬টি দেশের সমন্বয়ে ১৯৯৬ সালে এশিয়া ইউরোপ মিটিং (আসেম) জোট গঠিত হয়। এ জোট এশিয়া এবং ইউরোপের দেশ সমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এ জোটের সদস্য সংখ্যা ৫৩। বাংলাদেশ ২০১২ সালে আসেম-এ যোগদান করে।