নিউজ ডেস্ক:
পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখে পানি চলে আসে। তবে এই পেয়াজ যে স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারি তা জানলে আপনি অবাক হতে বাধ্য। প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের সঙ্গে এতে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা আমাদের শরীরে নানা উপকারে আসে। স্যালাদ থেকে স্যান্ডউইচ, কিংবা শুধু মুড়িতে মেখে যেমন নানা ভাবে পেঁয়াজ খাওয়া যায়, তেমনই এর রয়েছে নানাবিধ গুণ। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে একবার দেখে নিন পেঁয়াজের গুণাগুণ সম্পর্কে-
১। সংক্রমণ সারায়-
এর মধ্যে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় পদার্থ মজুত রয়েছে। তাই শরীরে কোথাও সংক্রমণ ঘটে থাকলে কাঁচা পেঁয়াজ একটু বেশি খান, চটজলদি উপকার পাবেন।
২। পুষ্টিগুণে ভরপুর-
প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সালফার, ভিটামিন B এবং C থাকে।
৩। জ্বর-সর্দিতে অসাধারণ কাজ করে-
ঠান্ডা লাগার ফলে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি বা সামান্য গা ব্যথায় দারুণ কাজ করে। সামান্য পেঁয়াজের রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খান। জলদি সেরে উঠবেন।
৪। দেহের তাপমাত্র কমায়-
জ্বরে দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পাতলা করে কাটা পেঁয়াজ কপালে রাখলে কিছু ক্ষণের মধ্যে তাপমাত্রা কমিয়ে দেবে।
৫। নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ-
গ্রীষ্মে বা শীতে অনেকের নাক থেকে রক্তপাত হয়। যদি এ সময়ে কাছাকাছি পেঁয়াজ থাকে তাড়াতাড়ি কেটে তার ঘ্রাণ নিতে থাকুন। রক্তপাত কমে যাবে বা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
৬। হজমশক্তি বাড়ায়-
যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ একটু কাঁচা পেঁয়াজ খান। পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে দ্রুত খাবার হজম হয়।
৭। ত্বকের সমস্যা মেটায়-
পোকামাকড়ের কামড় হোক, বা রোদে পোড়া ট্যান, কিংবা ব্রণ-ফুস্কুরি, এ সবের সমস্যা থাকলে সে সমস্ত জায়গায় একটু পেঁয়াজের রস লাগান। একটু কুটকুট করতে পারে, তবে দ্রুত কাজ করবে।
৮। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে-
কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
৯। হৃদয় এবং হাড় ভালো রাখে-
হাড়ের কঠিন ব্যারাম অ্যাথেরসক্লেরোসিস এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের সঙ্গে লড়ে। তার সঙ্গে দেহে খারাপ কোলেস্ট্রল কমায়। যার ফলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকে।
১০। ডায়াবেটিকদের জন্য খুব ভালো-
দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে পেঁয়াজ অত্যন্ত ভালো। যারা ডায়াবেটিক তারা চিকিত্স কের পরামর্শ নিয়ে রোজ পেঁয়াজ খান।