নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর বাইরের অন্যান্য গ্রহের অর্থাৎ ভিন গ্রহের প্রাণীদের বলা হয়ে থাকে, অ্যালিয়েন। বাস্তবে এখন পর্যন্ত ভিন গ্রহের প্রাণী বা অ্যালিয়েনের দেখা পাওয়া না গেলেও, ধারণা করা হয় অ্যালিয়েন রয়েছে।
সেই ধারণা এবার আরো জোড়ালো করল মহাকাশ থেকে আগত বেশ কিছু রেডিও সংকেত। তাহলে কি সত্যিই অ্যালিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে?
গবেষকরা সম্প্রতি তিন বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূর থেকে আগত ছয়টি রেডিও সংকেত পেয়েছেন। যদিও এই সংকেতগুলো এসেছে অনেক অনেক দূর অর্থাৎ তিন বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূর থেকে, কিন্তু সেখানে থেকেই কি ভিন গ্রহের প্রাণীরা এসব সংকেতের মাধ্যমে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গবেষকদের মনে।
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার মন্ট্রিলের ম্যাক গ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গ্রিন ব্যাংক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই বেতার তরঙ্গগুলো শণাক্ত করেন। এসব বেতার তরঙ্গ মাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
এসব তরঙ্গের উৎপত্তিস্থলটা যদিও অজানা কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, এর মাধ্যমে অ্যালিয়েনরা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
পল স্কল্জ এর নেতৃত্বে গবেষকরা ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’ এ প্রকাশিত তাদের রিসার্চ পেপারে বলেন, ‘আমরা ছয়টি সিগন্যাল এর মধ্যে পাঁচটি শণাক্ত করি গ্রিন ব্যাংক টেলিস্কোপ (২ গিগাহার্জ কম্পাঙ্কে) দিয়ে এবং অন্যটি শণাক্ত করি আরেসিবো অবজারভেটরি দিয়ে (১.৫ গিগাহার্জ কম্পাঙ্কে)। এটা নিয়ে মোট ১৭টি সংকেত পাওয়া গেল। যার আগের ১১টিও ওই একই লোকেশন থেকে শণাক্ত করা হয়েছিল। ওই স্থানের সাংকেতিক নাম এফআরবি ১২১১০২।
এই সংকেতগুলোকে বিজ্ঞানীরা এফআরবি (ফাস্ট রেডিও বার্স্টস) বলে অভিহিত করেন। যদিও এই সংকেতের নির্দিষ্ট উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। গবেষকরা বলেন, পরিচিত নমুনা এফআরবি ১২১১০২ বর্তমানে একটি অনন্য বিষয়। বহির্জাগতিক এফআরবি সংকেতগুলোর চরিত্রায়ন বোঝার জন্য ফাস্ট এক্সট্রাগ্যালাটিক রেডিও ট্রানসিয়েন্ট বোঝা প্রয়োজন।
পূর্বে যখন ১১টি সংকেত পাওয়া গিয়েছিল তখন জ্যোতির্বিদগণ এসইটিআই (সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এর সাহায্য চেয়েছিল আরো নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য। কিন্তু এটা এখনো পরিষ্কার না যে, ম্যাক গ্রিলের গবেষকরা সাহায্য চাইবেন কিনা।
অ্যালিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে?
আমাদের থেকে কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী কি আদৌ আছে, এটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। এ ব্যাপারে স্টিফেন হকিং বলেন, আমরা একটি ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। এই পদার্থবিদ মনে করেন, যদি অ্যালিয়েনরা পৃথিবী সম্পর্কে জানতে পারে বা আবিষ্কার করতে পারে তবে তারা এটাকে দখল করতে চাইবে এবং এখানে তাদের উপনিবেশ স্থাপন করতে চাইবে।