নিউজ ডেস্ক:
প্রায় ৪শ কোটি বছর আগে চাঁদে বায়ুমণ্ডল ছিল। আর চাঁদের এ বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মতোই শক্তিশালী ছিল- এমনটাই দাবি করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
চাঁদকে এতোদিন বায়ুমণ্ডলহীন একটি উপগ্রহ হিসেবে জেনে এসেছে মানুষ। সম্প্রতি সে ধারণায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে নাসার নতুন এ গবেষণায়।
চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠ সদা পরিবর্তনশীল। এর পৃষ্ঠের বৃহদাকার গহ্বরগুলোই এর প্রমাণ। কিছু গহ্বর উল্কার আঘাতে তৈরি হয়েছে। আর কিছু গহ্বর তৈরি হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে। ৩শ থেকে ৪শ কোটি বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে অতিদ্রুত চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠে লাভা ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিপুল বাষ্প নির্গত হয়। বেশিরভাগ বাষ্পই মহাশূন্যে হারিয়ে যায়।
আর কিছু বাষ্প চাঁদের উপরিভাগে থেকে যায়। এভাবেই চাঁদের বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি হয়েছিল। চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে এতে কার্বন মনোক্সাইডসহ বায়ুমণ্ডলের কিছু পরিবর্তনশীল উপাদানের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি ‘আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটারস’ জার্নালে নাসার গবেষক ডেবরা নিডহামের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলে এসব তথ্য জানা যায়।